State News

বিকেলে সর্বদল বৈঠক, সকালে কার্শিয়াঙে বোমাতঙ্ক

মঙ্গলবার সাতসকালেই কার্শিয়াং স্টেশন এবং বাজার চত্বরে কাগজে মোড়া দু’টি বোমা দেখতে পান স্থানীয়রা। বোমাতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে ঘরে ফেলে গোটা এলাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৪০
Share:

বন্‌ধে স্তব্ধ পাহাড়। ছবি: এএফপি।

সর্বদল বৈঠকে যোগ দিতে সোমবারেই শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় থেকে নেমে এসেছেন বিনয় তামাঙ্গ ও অনীত থাপাও। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় এখন সাজ সাজ রব। তার মধ্যেও অশান্তি জারি থাকল পাহাড়ে।

Advertisement

মঙ্গলবার সাতসকালেই কার্শিয়াং স্টেশন এবং বাজার চত্বরে কাগজে মোড়া দু’টি বোমা দেখতে পান স্থানীয়রা। বোমাতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে ঘরে ফেলে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও। তবে বোমাগুলি কী ধরণের তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ।

আরও পড়ুন: আজ বিকেলে পাহাড় নিয়ে উত্তরকন্যায় ফের সর্বদলীয় বৈঠক

Advertisement

আজ ৯০ দিন পূর্ণ করল পাহাড়ের বন্‌ধ। নবান্নে আগের সর্বদল বৈঠক শেষে পাহাড়ে গিয়েই ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্‌ধ শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিনয় তামাঙ্গ। কিন্তু গোপন ডেরা থেকে বিমল গুরুঙ্গের পাল্টা বন্‌ধের নির্দেশে কার্যত স্তব্ধই ছিল পাহাড়। বন্‌ধের সমর্থনে একাধিক মিছিলও করেছেন গুরঙ্গপন্থীরা।

আরও পড়ুন: ধর্মগুরুর নির্দেশে বন্‌ধে অনড় গুরুঙ্গ

আজ ফের পাহাড়ে অচলাবস্থা কাটাতে সর্বদল বৈঠক হবে উত্তরকন্যায়। এখন রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাহাড়কে সচল করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যেই টানা ৮৯ দিন পর গতকাল থেকে শিলিগুড়ি-কালিম্পং রুটে শুরু হয়েছে সরকারি বাস পরিষেবা। প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ার পর সোমবার কালিম্পংয়ের খুলেছিল তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কও।

মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় বৈঠক শুরু হবে বিকেল ৩টে থেকে। সূত্রের খবর, তিন গুরুঙ্গপন্থী মোর্চা বিধায়ক আজ উপস্থিত থাকতে পারেন এই বৈঠকে। নবান্ন তরফেও তাঁদের স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে ওই তিন বিধায়কই সংবাদমাধ্যমের করাছে দাবি করেন, কোনও সদর্থক বার্তাই তাঁরা পাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement