Twitter

মমতাকে নিয়ে টুইট-যুদ্ধ, বিজেপিকে টক্কর তৃণমূলের

‘বাংলার গর্ব মমতা’—দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে এই স্লোগান বেঁধেছিল তৃণমূল। আর সরাসরি তাকে আক্রমণ করেই একই ভঙ্গিতে স্লোগান তৈরি করে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৫:০৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে স্লোগান-লড়াই শুরু হল তৃণমূল ও বিজেপির।

Advertisement

‘বাংলার গর্ব মমতা’—দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে এই স্লোগান বেঁধেছিল তৃণমূল। আর সরাসরি তাকে আক্রমণ করেই একই ভঙ্গিতে স্লোগান তৈরি করে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতারা শুক্রবার থেকে টুইটারে লিখতে শুরু করেছেন, ‘বাংলার লজ্জা মমতা।’ তৃণমূল অবশ্য দাবি করছে, এই লড়াইয়ে প্রথম রাউন্ডে সোশ্যাল মিডিয়ার মাপকাঠি ‘ট্রেন্ড’-এর বিচারে অনেক এগিয়ে রয়েছে তাদের ‘বাংলার গর্ব মমতা।’ তৃণমূল সূত্রের দাবি, ‘‘বিজেপির নোংরা প্রচারকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতীয় স্তরেও যে ট্রেন্ড রয়েছে, তাতে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ রয়েছে ১৬ তম স্থানে। আর বিজেপির প্রচারের জায়গা ২৮ তম স্থানে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য শনিবার দাবি করেছেন, ‘‘কে গর্ব আর কে লজ্জা, তা মানুষ ঠিক করবেন। আমরা ভোট অবধি অপেক্ষা করছি আর সাধারণ মানুষ সুযোগের অপেক্ষায় আছেন।’’

লকডাউন পর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করতে সামাজিক মাধ্যমকে আগের চেয়েও বেশি ব্যবহার করছে বিজেপি। গত তিন মাসে বহু বার তাদের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব টুইটারে ‘কোথায় আছে মমতা’, ‘ভয় পেয়েছে মমতা’, ‘আর নয় মমতা’-সহ নানা শিরোনামে ‘হ্যাশট্যাগ’ দিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। এ বার টুইটারে তাঁদের প্রচারের শিরোনাম ‘বাংলার লজ্জা মমতা’। দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা, এই কর্মসূচি তৃণমূলের ‘বাংলার গর্ব মমতা’ শীর্ষক প্রচারের পাল্টা।

Advertisement

বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী, দলের কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়, সাংসদ সুভাষ সরকার, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো প্রমুখ তৃণমূলকে বিঁধতে একযোগে টুইটারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে এই পাল্টা স্লোগান দিয়েছেন। তার সঙ্গে কৈলাস লিখেছেন, ‘‘মমতা এবং তৃণমূল সরকার মানুষকে কেন্দ্র সম্পর্কে বিক্ষুব্ধ করে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ, আমপান, পরিযায়ী শ্রমিক— বিভিন্ন ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সাহায্য আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, আর্থিক উন্নয়ন ইত্যাদি নানা দিকে মমতা সরকারের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে টুইটারে প্রচার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement