মহাকরণে আগুন লাগে মঙ্গলবার রাতে। নিজস্ব চিত্র।
মহাকরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে বাধল রাজনৈতিক চাপান-উতোর। ফাইল বা নথিপত্র নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই আগুন লাগানো হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হল বিরোধীরা। এমন অভিযোগকে অবশ্য অমূলক বলে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এখন ই-ফাইলের যুগ। ডিজিটাল পদ্ধতিতেই নথিপত্র সংরক্ষণ হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার মন্তব্য করেছিলেন, বাম আমলের মন্ত্রী এবং সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফাইল পোড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। মহাকরণে আগুন লাগে মঙ্গলবার রাতে।
তার জের টেনেই বুধবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘মহাকরণে স্বরাষ্ট্র দফতরে আগুন লাগল, ফাইলপত্র নষ্ট হল। লোপাট করার চেষ্টাতেই এই আগুন নয় তো? মুখ্যমন্ত্রীর একটা অদ্ভুত মজা আছে। উনি অন্যের অপরাধ বলে যেটা বলেন, সেটাই নিজে করেন! আসলে সে দিন উনি অগ্রিম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফাইল পোড়ানোর! অপরাধী কিছু একটা সূত্র রেখে যায়!’’ সুজনের আরও বক্তব্য, ‘‘সূর্যকান্ত মিশ্রের ফাইল যদি না পাওয়া যায়, কোনও এফআইআর হল না কেন? সরকারে এসে ১১ বছর কী করছিলেন?’’
মহাকরণে আগুনের ঘটনা নিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের বেনালিতে এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘অনেক সরকারি দফতরেই নথি নষ্ট করার জন্য আগুন ধরার ঘটনা ঘটবে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। ফরেন্সিক দফতর সব খুঁজে বার করবে!’’
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এ দিন বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির প্রি-কাউন্সিলিং-এর অনুষ্ঠানে এসে বিরোধীদের অভিযোগকে নস্যাৎ করে মন্ত্রী ফিরহাদ অবশ্য বলেছেন, ‘‘এখন সবই ই-ফাইলিং। সবটাই ডিজিটালি সংরক্ষণ করা আছে। সুতরাং, ফাইল পোড়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তা ছাড়া, বামফ্রন্ট যখন মহাকরণ ছেড়ে যায়, তখনই তারা সব ফাইল নিয়ে চলে গিয়েছে! আগুন কী ভাবে লেগেছে, কী হয়েছে, সবটাই দমকল বলতে পারবে।’’