মোদীর সঙ্গে জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর জমানাকেও আক্রমণ করতে নির্দেশ তৃণমূল নেতৃত্বের। ফাইল চিত্র।
শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শাসনকাল বা বিজেপিকেই নয়, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রচার সভাগুলিতে আক্রমণ করতে হবে সিপিএম জমানাকেও। তাই মোদীর সঙ্গে একাসনে বসিয়ে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আক্রমণ শানাচ্ছেন বামফ্রন্ট জমানার প্রতিও।
সম্প্রতি ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশ পালনের আগে রাজ্য জুড়ে তার প্রচার সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সঙ্গে পথসভার বক্তৃতায় কী কী বলতে হবে, তা-ও নির্দেশাকারে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কারণে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন, সে কথাও সর্বস্তরের নেতাদের পথসভায় উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সে বার ‘নো আই কার্ড, নো ভোট’-এর দাবিতে মমতার অহিংস আন্দোলনের উপর জ্যোতি বসু সরকারের পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৩ জন যুবকর্মীকে হত্যা করেছিল, সে কথা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই দিনের ঘটনায় শতাধিক যুব কংগ্রেস কর্মী-সহ মমতাও যে আহত হয়েছিলেন, তা-ও প্রকাশ্য সভাগুলিতে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভাষণে এখনকার বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি তখনকার সিপিএম জমানাকেও আক্রমণ করতে হবে। জ্যোতি-বুদ্ধ জমানায় গণহত্যা, ধর্ষণ, হিংসা, লোডশেডিং, ইংরেজি তুলে দেওয়া, কম্পিউটারের বিরোধিতা, বন্ধ শিল্প ও ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থার কথাও উল্লেখ করতে হবে।
বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে বলেও আক্রমণ শানাতে হবে বলে নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান মুখপাত্র বলেন, ‘‘দল ক্ষমতায় এসেছে ১১ বছর হল। এই ১১ বছরে এমন অনেকেই দলে এসেছেন, যাঁরা জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানার অত্যাচার চোখে দেখেননি, বা সিপিএমের অত্যাচার সহ্য করেননি। এই ক্ষমতায় আসার পিছনে নেত্রী মমতার কতখানি আত্মত্যাগ রয়েছে, তা সব তৃণমূল কর্মীর জানা উচিত। তাই শহিদ সমাবেশের প্রচার বক্তৃতায় বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি সিপিএম জমানার কথাও স্মরণে রাখতে বলা হয়েছে।’’