পূর্ণেন্দু বসু, কুণাল ঘোষ ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
পূর্ণেন্দু বসু, কুণাল ঘোষ ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হল। শনিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত বৈঠকে সাংগঠনিক পুর্নগঠনের একাধিক সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণার পর দেখা যায়, তৃণমূলের কৃষক ও ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে বিগত সরকারের মন্ত্রী পূর্ণেন্দুকে। রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক এবার আর ভোটে দাঁড়াননি। তাই তাঁর পরিচিত কৃষি ক্ষেত্রেই তাঁকে সাংগঠনিক পদ দিয়েছেন মমতা। বামপন্থী রাজনীতি করার সময়ও একাধিক কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
সাংবাদিক কুণাল এত দিন ছিলেন দলের মুখপাত্র। ভোটের আগেই তিনি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু এ বারের ভোটে পাহাড় থেকে সাগর, সর্বত্র তৃণমূলের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ভোটে সাফল্য পাওয়ার পরেই তাঁকে পুরস্কৃত করল তৃণমূল। দেওয়া হল রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদ।
প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত এ বারের ভোটে প্রার্থী না হতে পারলেও, উত্তরবঙ্গের আসনগুলিতে তৃণমূলের হয়ে জোর প্রচার চালিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গে ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির প্রচারেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি করা হল তাঁকে। এক কথায়, তৃণমূলের নব্য প্রজন্মের অন্যতম নেতা হিসেবেই তুলে ধরা হল ঋতব্রতকে।