—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাস্তায় আম জনতার জন্য বরাদ্দ বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট হবে। ভোটকর্মী এবং পুলিশকর্মীদের জেলায় জেলায় যাতায়াতের জন্য পরিবহণ দফতর মারফৎ বেসরকারি বাস ভাড়া নেয় সরকার। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পঞ্চায়েত ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে বলে জানা গিয়েছে। আর তাতে এ বার অতিরিক্ত বাস লাগবে বলে মনে করছে বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। তাতেই গণ পরিবহণ পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কারণ বেশি সংখ্যায় বাস নির্বাচন কমিশন ভাড়া নিলে রাস্তায় সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। কারণ ভোট ৮ জুলাই হলেও, গণনা হবে ১১ জুলাই। তাই আগামী এক মাস জুড়ে ভোটকর্মী, পুলিশকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জন্য বাস লাগবে। আর এই সময়ে কলকাতা এবং শহরতলী-সহ জেলায় জেলায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই রাজ্যের সাধারণ মানুষকে তাঁরা কী ভাবে পরিবহণ পরিষেবা দেবেন তা নিয়ে সন্দিহান বাস মালিকেরা।
এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা জেনেছি, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। রাজ্য পুলিশের জন্য বাস লাগবে, যাঁরা ভোটের কাজ করবেন, তাঁদের জন্যও বাসের প্রয়োজন হবে। এত সংখ্যায় বাস লাগলে রাজ্য বাস শূন্য হয়ে যাবে। নিয়মানুযায়ী, যত দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যে থাকবেন, তত দিন বাসগুলি তাদের জন্য আটকে রাখা হবে, এমনটা হলে আমরা সাধারণ মানুষকে বাস পরিষেবা দেব কী ভাবে?’’ তবে পরিবহণ দফতর এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করতে নারাজ। পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সরকার কমিশনকে ভোটের কাজে ভাড়া বাসের বন্দোবস্ত করে দেয়। তাতে যেমন সরকারি বাস লাগে, তেমনই লাগে বেসরকারি বাসও। তাই সামঞ্জস্যপূর্ণ সংখ্যাতেই বাস ভাড়া নেওয়া হবে। বেসরকারি বাস মালিকেরা যে আশঙ্কার কথা ভাবছেন তা অমূলক। রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে পরিবহণ পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর।