পুজোর আগেই শুরু হবে দুটি রুটের ট্রাম পরিষেবা। নিজস্ব চিত্র
পুজোর আগেই দু’টি রুটে ট্রাম পরিষেবা ফের শুরু করবে পরিবহণ দফতর। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত এমনটাই জানিয়েছে তারা। দফতর জানিয়েছে, খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড, বিধাননগর-রাজাবাজার রুট দু'টি পুনরায় চালু করা হবে। সেই লক্ষ্যে যে পরিবহণ নিগম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের আগে শহরে ছ'টি রুটে ট্রাম চলত। কিন্তু আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রামলাইনগুলি। পরে আবারও সব ক'টি রুটে ট্রামলাইন মেরামত করে ফের ট্রাম পরিষেবা শুরু করে পরিবহণ দফতর।
বর্তমানে মাত্র দু'টি ট্রাম রুটি চালু রয়েছে। সেগুলি হল গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড ও টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুট। কিন্তু শহরের বুকে মেট্রো রেলের কাজ চলার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে রাজাবাজার-হাওড়া ব্রিজ, গড়িয়াহা়ট-এসপ্ল্যানেড ও হাওড়া-শ্যামবাজার রুটগুলি। তবে পরিবহণ দফতর খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড, বিধাননগর-রাজাবাজার রুটগুলির যাত্রাপথ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। পরিবহণ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন পুজোর আগেই যাতে এই দুই রুটে ফের ট্রাম পরিষেবা শুরু করা যায়, সেই লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করছেন। কারণ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস বর্ষাকাল। আর এ বার পুজো অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই। তাই বর্ষা শুরুর আগেই ওই দুই ট্রাম রাস্তার মেরামতের কাজ শেষ করতে চাইছে পরিবহণ দফতর।
তাই ইতিমধ্যে টেন্ডার ডাকার কাজ হয়ে গিয়েছে। খিদিরপুর-এসপ্ল্যানেড রুটের ট্রামের লাইন মেরামতের জন্য খরচ হবে এক কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ও বিধাননগর-রাজাবাজার রুটের জন্য খরচ হবে ৭৫ লক্ষ টাকা। পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "ট্রাম কলকাতার ঐতিহ্য। তাই সেই ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই পুজোর আগেই দু'টি রুটের রাস্তা ঠিক করে ট্রাম চালানো হবে।" পরে আর কোন কোন পথে ট্রাম চালানো হবে, তা আলোচনা করে ঠিক করবে পরিবহণ দফতর।