এই লঞ্চই সেজে উঠবে পর্যটকদের জন্য। নিজস্ব চিত্র
শিল্পের পাশাপাশি হলদিয়াতে নদীকে কেন্দ্র করে পর্যটনে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সে জন্য পরিবহন দফতর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদকে (এইচডিএ) একটি আধুনিক লঞ্চ দিয়েছে। সম্প্রতি হলদিয়া ভবনের একটি অনুষ্ঠানে এসে এমনই জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সাতের দশকে তৈরি হলদিয়া ভবনকেও আধুনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
কয়েকদিন আগেই হলদিয়া ভবনে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী তথা এইচডিএ চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বলেন, ‘‘পর্যটনের ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে। হলদিয়া ভবনে অনেকেই আসেন। হলদি নদী, সমুদ্র ও মোহনায় তাঁরা বেড়াতে যেতে চান। সে কথা মাথায় রেখে পরিবহণ দফতর এইচডিএ’কে একটি ১০০ আসনের আধুনিক লঞ্চ দিয়েছে। ওই লঞ্চে হলদিয়া ভবন থেকে জেলিংহ্যাম এবং ত্রিবেণী সঙ্গম ঘুরে আসা যেতে পারে।’’ মন্ত্রী জানান, গেঁওখালিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে অতিথিশালা নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই রাখা হয়েছে ওই ভবনের থাকার খরচ।’’
লঞ্চে ভ্রমণের পাশাপাশি, হলদিয়া ভবনও সাজানোর পরিকল্পা নেওয়া হয়েছে। এইচডিএ সূত্রের খবর, হলদিয়া ভবনের নির্মাণশৈলী এবং বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব খড়্গপুর আইআইটি এবং শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে যৌথ সমীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষা হলেই আরও আধুনিক এবং সম্প্রসারণের কাজ হবে বলে জানিয়েছেন হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থার সিইও বিভু গোয়েল। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের এই কর্তা বলেন, ‘‘হলদিয়া ভবনের ভৌগোলিক পরিবেশ আকর্ষণীয়। পাশেই রয়েছে হলদি নদী। আমরা ইতিমধ্যেই হলদিয়া ভবনের বাগান-সহ নানা সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেছি।’’
নতুন লঞ্চ প্রসঙ্গে বিভু বলেন, ‘‘লঞ্চটি বর্তমানে কুকড়াহাটিতে রয়েছে। আমরা লঞ্চটি হলদিয়া, নয়াচর-সহ বিভিন্ন জেটি ঘাটে নিয়ে যাচ্ছি। সমীক্ষার পর আমরা এই লঞ্চটি ব্যবহার করব। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ওই লঞ্চে হলদি নদীতে ঘোরা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’