শুরু থেকেই এই নতুন উদ্যোগে ভাল সাড়া পেয়েছে পরিবহণ দফতর। ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন দফতরের নিজ নিজ ক্ষেত্র ব্যবহার করে আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে বলেছে নবান্ন। সেই নির্দেশ মেনে নতুন প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানোর ব্যাপারে সাফল্য পেল পরিবহণ দফতর। কয়েক মাস আগে পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব নেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে আয় বাড়ানোর উপায় খোঁজার বিষয়ে নির্দেশ দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আয় বাড়ানোর একটি উপায় নিয়েও পথ অনুসন্ধানের কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণ করে কীভাবে আরও বেশি শুল্ক আদায় করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেই আলোচনা শুরু হয় তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় পরিবহণ দফতরের নতুন পোর্টাল।
পরিবহণ দফতরের এই পোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুবিধা’। এই ‘সুবিধা’ পোর্টালকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তের চেকপোস্টগুলিতে শুরু হয়েছে ‘স্লট বুকিং’ পদ্ধতি। পোর্টালে গিয়ে অনলাইন পদ্ধতিতে ‘স্লট বুকিং’ শুরু হয়। নতুন এই পদ্ধতিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় পণ্য পরিবহণে ব্যবহৃত ট্রাকগুলিকে যাতে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে না থাকতে হয়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেই প্রাথমিক ভাবে পোর্টালটিতে ‘স্লট বুকিং’ প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরু থেকেই এই নতুন উদ্যোগে ভাল সাড়া পেয়েছে পরিবহণ দফতর। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই সহজে মালপত্র নিয়ে বাংলাদেশ যাওয়া যাচ্ছে। কোচবিহার থেকে বনগাঁ সর্বত্র এই পদ্ধতি ব্যবহারের সুফল মিলিছে বলেই দাবি পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের।
নতুন এই পদ্ধতি চালু করে একদিকে যেমন পণ্যপরিবহণকারী গাড়িগুলির সময় সাশ্রয় করা গিয়েছে। তেমনই ‘স্লট বুকিং’ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজের আগাম অর্থ লাভ হচ্ছে পরিবহণ দফতরের। ফলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মাত্র কয়েক মাসে ৬০ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, প্রাথমিক ভাবে এই পদ্ধতি কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ ছিল আমাদের মনে। কিন্তু গত ৪ মাসে এই প্রক্রিয়ায় সীমান্তে পণ্য পরিবহণ মসৃণ হয়েছে, বেড়েছে দফতরের আয়। তাই এই প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে আগামী দিনে আমাদের ভাবনাচিন্ত করতে হবে।