Cyclone Dana Effect

‘ডেনা’-আতঙ্কে যাত্রী কম, তবে হাওড়া-শিয়ালদহে ছন্দে ট্রেন পরিষেবা, দমদম থেকে চালু উড়ানও

পূর্বঘোষণা মোতাবেক, সকাল ১০টায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:১৮
Share:

‘ডেনা’-আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরল ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা। —নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র প্রভাবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এই রাজ্যে। তবে আতঙ্কে অনেকেই শুক্রবার বাড়ির বাইরে বেরোননি। তাই অন্য দিনের তুলনায় বিভিন্ন রেলস্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। পূর্বঘোষণা মোতাবেক, সকাল ১০টায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।

Advertisement

শিয়ালদহ এবং বারাসত থেকে হাসনাবাদ শাখাতেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনেও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। তবে হাওড়া এবং শিয়ালদহ মেন শাখায় মোটের উপরে পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। সময়েই চলেছে ট্রেন। তবে শুক্রবার সকালে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় দুই শাখাতেই যাত্রীদের সংখ্যা অনেক কম। হাওড়া বাসস্ট্যান্ডেও সকালের দিকে বাস কম ছিল। বেলায় অবশ্য বাসের সংখ্যা বাড়ে।

‘ডেনা’র কারণে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না বলেও ঘোষণা করা হয়। শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়, ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সকাল ৯টায় দু’টি বিমানবন্দরই ফের চালু হয়। স্বাভাবিক হয় বিমান চলাচলও।

Advertisement

কলকাতা থেকে প্রতি দিন গড়ে ৪০০ বিমান ওঠানামা করে। ভুবনেশ্বর থেকে ১০০ বিমান ওঠানামা করে প্রতি দিন। ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র জেরে বিপুল সংখ্যক বিমান বাতিল হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। শুক্রবার সকালে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আগেই বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

‘ডেনা’র প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৫৫২টিরও বেশি এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। তার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেল বাতিল করে ১৫০টি ট্রেন। ইস্টকোস্ট রেল বাতিল করেছে ১৯৮টি। পূর্ব রেল ২০০টিরও বেশি এবং দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য রেল বাতিল করে ১৪টি ট্রেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনেক যাত্রীই হাওড়া স্টেশনে এসে ট্রেন বাতিলের খবর পান। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অনেকেই স্টেশন চত্বরে বসে পড়েন। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ট্রেন পরিষেবা শুরুর আগেই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় জমিয়েছেন। ট্রেন পরিষেবা ছন্দে ফেরায় খুশি তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement