ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি বছরই পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ ঘটা করে পালিত হয় কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু দুর্ঘটনা এড়ানো কোনও ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পথকে সুরক্ষিত করতে, জীবনকে নিরাপদ রাখতে শুক্রবার পুলিশ প্রশাসন ও রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’— এই মন্ত্র নিয়েই পথ নিরাপত্তার প্রচার শুরু করেছিল রাজ্য। কিন্তু এই ট্যাগ লাইন শুধু প্রচারেই সীমাবদ্ধ থেকেছে, কমানো যায়নি দুর্ঘটনা। যে ভাবে শহর এবং রাজ্য জুড়ে বেপরোয়া গাড়ির দাপাদাপি শুরু হয়েছে, তাতে এ দিন উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেপরোয়া গাড়ি চালানো কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না, এই বার্তাই নজরুল মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ছুড়ে দিলেন মমতা। তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালাতে গিয়ে পথচলতি মানুষকে পিষে দিয়ে যাচ্ছে, কখনও রেষারেষি করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে— প্রতি দিনের এই ছবিটি বদলের জন্য পুলিশকেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। শহরের মতো জেলাগুলিতেও দুর্ঘটনার ছবি একই রকম। জাতীয় সড়কগুলিতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। মমতা বলেন, “এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এটা অপরাধ। মানুষকে বোঝাতে হবে। তাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”
পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, অনেকেই হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন। পুলিশ ধরলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। এটা কোনও ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। তাঁদের মধ্যে এই বার্তাটাই ছড়িয়ে দিতে হবে যে বেপরোয়া গাড়ি চালালে বা হেলমেট না পরলে আইনি ব্যবস্থা থেকে ছাড় পাবেন না তাঁরা। বাইক বা স্কুটার কিনলেই হেলমেট কম্পালসরি। পুলিশের কাছেও তাঁর আহ্বান, নতুন ভেহিকলস নিয়ম তৈরি করেই নিশ্চিন্ত হলে চলবে না। যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি মাসে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পদস্থ কর্তাদের বৈঠক করতে হবে।
মমতার কথায়: ‘‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ শুধু প্রচার নয়, আন্তরিকতা দিয়ে করতে হবে।”
আরও খবর...