প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশ এবং পুলিশ বিভিন্ন কমিশনারেটে যে-ভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সেই ধাঁচে জেলায় জেলায় পূর্ণাঙ্গ ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য ট্রাফিক পুলিশের ওই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে। এ ছাড়াও সব জেলায় ডিএসপি (ট্রাফিক)-র হাতে সেখানকার পুরো ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁদের জন্য পৃথক অফিসেরও ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম খুলতে হবে সেই অফিসেই। সেখান থেকেই জেলার যান চলাচল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ছবি দেখা যাবে ওই অফিসে বসে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে ১৫টি রাজ্য সড়কের দৈর্ঘ্য চার হাজার কিলোমিটার। রয়েছে ২৭টি জাতীয় সড়কের প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার অংশ। যান চলাচল ঠিক রাখতে প্রতিটি জেলায় এক জন ডিএসপি থাকলেও তাঁদের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী নেই। ঠিক করে দেওয়া হয়নি তাঁদের কাজের পরিধিও। ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলানোর জন্য কোনও ট্রাফিক গার্ডও নেই।
এই সব দিক মাথায় রেখেই রাজ্য ট্রাফিক পুলিশের অধীন রাজ্য ও জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথম দফায় প্রায় ৭৫টি ট্রাফিক গার্ড তৈরির কথা বলা হয়েছে। সেখানে ডিএসপি-র অধীনে থাকবে ট্রাফিক পুলিশের নিজস্ব বাহিনী। এ ছাড়াও ওই ডিএসপি-দের হাতে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার তদারকির ভার দেওয়ার কথা। যাতে তদন্ত ঠিক সময়ে শেষ হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ দেখাশোনা করার কথা ওই অফিসারেরই।