Tea gardens

চা বাগানের আর্থিক অবস্থা দেখতে চায় রাজ্য

পাহাড়ের কিছু শ্রমিক নেতারা কেউ কেউ একে স্বাগত জানালেও শ্রমিক যৌথ মঞ্চে এ নিয়ে নানা মত উঠে আসছে। যদিও ২০২০ সালের আগে এক দফায় চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে সমীক্ষা করেছিল শ্রম দফতর।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১১
Share:

চা-পাতা তুলছেন মহিলারা। রোহিনী চা বাগানে। ছবিঃ স্বরূপ সরকার।

পাহাড়ের চা বাগানগুলির আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার রাজ্যের প্রস্তাব নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলির মধ্যে নানা মত দেখা দিয়েছে। গত শনিবার, ১৬ নভেম্বর শিলিগুড়়ির শ্রম ভবনে পাহাড়ের চা বাগানের বোনাস নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বি্ষয়টি সামনে আসে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সেখানে পাহাড়ের বাগানগুলির আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা, ব্যালান্স শিট পরীক্ষার প্রস্তাব সামনে এসেছে। বাগানের অবস্থা দেখে বোনাসের বিষয়টি চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক থেকে শ্রম সচিব, শ্রম কমিশনারেরা ছিলেন। সেখানে পাহাড়ের বাগানগুলি বছরের আর্থিক অবস্থা তথা ব্যালান্স শিট পরীক্ষার কথা ওঠে। শ্রম দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বাগানগুলির পরিস্থিতি শ্রম দফতর নিয়মিত লক্ষ রাখে। আর্থিক অবস্থা নিয়ে সরকার খোঁজখবর করবে।’’

Advertisement

পাহাড়ের কিছু শ্রমিক নেতারা কেউ কেউ একে স্বাগত জানালেও শ্রমিক যৌথ মঞ্চে এ নিয়ে নানা মত উঠে আসছে। যদিও ২০২০ সালের আগে এক দফায় চা বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে সমীক্ষা করেছিল শ্রম দফতর। শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেন, ‘‘বোনাস চুক্তির সঙ্গে বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি যাচাই করাটা ঠিক হবে না। এতে একাধিক সমস্যা হতে পারে। তা না করে বোনাস নিয়ে আলোচনা এগোলেও ভাল।’’

শ্রমিক নেতারা জানান, বিশেষ করে, বাগান ধরে ধরে ওই হিসাব দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু হলে প্রচুর সময় লাগবে। শেষে, ৮৭টি বাগানের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ছ’মাস কেটে গেলে বোনাস পর্যালোচনাই তো ঝুলে যেতে পারে। তার বদলে বোনাসের বিষয়টি আলাদা রাখা দরকার। হামরো পার্টির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ডিকে গুরুং বলেন, ‘‘সরকার বাগানগুলির আর্থিক পরিস্থিতি দেখার কথা বলেছে। এটা ভাল উদ্যোগ। তবে বোনাসের বিষয়টির নিষ্পত্তি আগে হওয়া দরকার।’’

Advertisement

শ্রম আধিকারিকেরাই জানাচ্ছেন, সব বাগানের আর্থিক পরিস্থিতি পাহাড়ে এক নয়। তাই আর্থিক পরিস্থিতি আলোচনায় উঠেছে। এখন ১৫ দিন সময় রয়েছে। নানা স্তরে আলোচনা করে জট খোলা হবে। উল্লেখ্য, পাহাড়ের মোট ৮৭টি চা বাগানের মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়ে রয়েছে। আরও কিছু বাগানে অচলাবস্থা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement