প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেস, জামিন বাকি পাঁচেরও

সাধারণ ধর্মঘটের দু’দিনে রাজ্যে পুলিশ ও শাসক দলের ‘আক্রমণে’র প্রতিবাদে পথে নামল সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। একসঙ্গেই মিছিল করল বাম ও কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সাধারণ ধর্মঘটের দু’দিনে রাজ্যে পুলিশ ও শাসক দলের ‘আক্রমণে’র প্রতিবাদে পথে নামল সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। একসঙ্গেই মিছিল করল বাম ও কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন। একই দিনে জামিনে মুক্তি পেলেন রাজাবাজারে স্কুলের গাড়িতে হামলার ঘটনায় ধৃত বাকি পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মীও।

Advertisement

ধর্মতলা থেকে এন্টালি পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যার প্রতিবাদ মিছিলে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির পাশাপাশিই যোগ দিয়েছিল ব্যাঙ্ককর্মী, টেলিফোন কর্মী-সহ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কিছু সংগঠনও। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরে প্রতিবাদ মিছিলে এসেছিলেন সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও। তাঁদের দাবি, ধর্মঘট চলাকালীন রাজাবাজারে স্কুলের গাড়িতে হামলার ঘটনা ‘সাজিয়ে’ তাঁদের ‘ফাঁসানো’ হয়েছিল। সংগ্রাম বা এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তাঁরা ধর্মঘটের সমর্থনে এলাকায় মিছিল করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে স্কুলের গাড়ি ভাঙচুরের কোনও সম্পর্ক নেই। ওই মিছিল থেকেই ধৃত ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনের আগেই জামিন হয়েছিল। বাকি পাঁচ জনকে এক দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আলিপুর জেল থেকে এনে এ দিন তাঁদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে তাঁরা সকলেই জামিন পেয়েছেন।

প্রতিবাদ মিছিলে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘ধর্মঘটে তো সরকার পড়ে যেত না! কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। অথচ মোদীর সঙ্গে শ্রমিক, কর্মচারীদের লড়াইয়ের মাঝে এসে দাঁড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও সরকার!’’ একই প্রশ্নে রাজ্য জুড়ে এ দিনই ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করেছে ডিওয়াইএফআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement