প্রতীকী ছবি।
করোনার জেরে ২২ মার্চ, ২০২০ থেকে বন্ধ ছিল দার্জিলিং-নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) টয় ট্রেন পরিষেবা। দীর্ঘ ১৭ মাস পর বুধবার ফের এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা চালু হল। বুধবার এনজেপি-তে প্রথম ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন কাটিহারের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরী। ওই স্টেশন থেকে টয় ট্রেনে চাপেন দুই যাত্রী। একই ভাবে দার্জিলিং থেকে টয় ট্রেন যাত্রার সূচনা করেন দার্জিলিঙের স্টেশন ম্যানেজার সুমন প্রধান। আগামী দিনে পরিষেবা আরও ভাল করার কথা ঘোষণা করেন ডিআরএম। একই সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছর পর টয় ট্রেনে চালু হচ্ছে পার্সেল ভ্যানও।
অন্য দিকে, পর্যটকদের জন্য আগামী ৩০ অগস্ট থেকে চালু হচ্ছে এনজেপি-রংটং স্পেশাল ‘জঙ্গল টি সাফারি’। ডিআরএম জানিয়েছেন, মাথা পিছু ভাড়া আপাতত এক হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের টি টেস্টিং করানো হবে। পাশাপাশি উন্নত করা হচ্ছে রেলের ট্র্যাক, ইঞ্জিন এবং বগি। বাড়ানো হচ্ছে জয় রাইডের সংখ্যাও। দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে চলবে মোট ১২টি জয় রাইড ট্রেন।
চলতি মাসের ১৬ তারিখ দার্জিলিং থেকে ঘুমের মধ্যে টয় ট্রেন পরিষেবা শুরু হলেও বন্ধ ছিল দার্জিলিং থেকে এনজেপি পর্যন্ত পরিষেবা। কোভিড প্রোটোকল মেনে বুধবার সেটাও চালু হয়ে গেল। ডিআরএম জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন পরিষেবায় স্থানীয়দের কী ভাবে যুক্ত করা যায় তা নিয়ে রেল ভাবনা চিন্তা করছে।
তরাই, ডুয়ার্স, দার্জিলিং পাহা়ড়ের অন্যতম আকর্ষণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া এই টয় ট্রেন। দীর্ঘ দিন ধরেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা দার্জিলিঙে ছুটে আসেন মূলত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ও টয় ট্রেনে চড়ে পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে। বহুদিন পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমাধারী টয় ট্রেন ফের চালু হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষও। তাঁদের মতে, এর ফলে বিদেশি পর্যটকেরা আবার পাহাড়মুখী হবেন। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে। বুধবার টয় ট্রেনের যাত্রাকে ক্যামেরাবন্দি করে বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন স্থানীয়েরা। ছবি পোস্ট করেছেন নেটমাধ্যমেও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে টয় ট্রেনের জয় রাইড পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে, পর্যটনের দ্বার খুলে দেওয়া হলেও দার্জিলিং-সহ তরাই ও ডুয়ার্সে পর্যটকদের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছিল। কিন্তু পুজোর আগে টয় ট্রেন পরিষেবা ফের চালু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন স্থানীয়েরা।