ছবি: শাটারস্টক।
বছরের প্রথম দিনে সুন্দরবনে হয়রানির শিকার পর্যটকেরা। সারা দিন লঞ্চে চেপে নদী ও ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে বর্ষবরণে পর্যটকদের ঢল নামে সুন্দরবনে। এ বার সেই উদ্দেশ্যই পূরণ হল না। অধিকাংশ লঞ্চই পর্যটকদের নিয়ে জঙ্গলে ঢুকতে চাইছে না! সুন্দরবনের শতাধিক লঞ্চ-নৌকোর লাইসেন্স বাতিল হওয়ার জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রতি বছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ থেকে সুন্দরবনের লঞ্চ-নৌকোগুলিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার অনেকেরই লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ হয়নি। লাইসেন্স ছাড়া জঙ্গলের মধ্যে ঢুকলেই তাঁদের জরিমানা করা হবে বন দফতরের পক্ষ থেকে, এই ভয়েই পর্যটকদের নিয়ে বেরোতে চাইছেন না লঞ্চ মালিকেরা। সুন্দরবন টুরিস্ট বোট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম সর্দার বলেন, ‘‘মোটা টাকা জরিমানার ভয়ে কেউই জঙ্গলে ঢুকতে পারছেন না। ফলে বোটগুলি ঘাটেই দাঁড়িয়ে আছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লঞ্চ ও নৌকো মালিকদের অনেকেই সঠিক সময়ে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করেননি। ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট দফতরে এমনিতেই লোক কম থাকে। তবে ছুটি শেষে ২ জানুয়ারি থেকে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছে তারা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল বলেন, ‘‘সঠিক সময়ে আবেদন না করায় অনেকেই নতুন লাইসেন্স পাননি ৷ অফিস খোলার পর আবেদন করলে সকলেই লাইসেন্স পাবেন।’’
এর জেরে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরা। ভিন্জেলা তো বটেই, রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়েও বহু পর্যটক বর্ষবরণে সুন্দরবনে আসেন। নৌকো-লঞ্চে চেপে জঙ্গলে যাওয়াই তাঁদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। তা হলই না, উল্টে দুর্ভোগের শিকার হলেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতির কথা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল প্রশাসনের তরফে। পর্যটক অমল ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আগে থেকে জানা থাকলে এ বার তো আসতামই না সুন্দরবনে।’’