হাওড়ার ডোমজুড়ে তরুণীর পরিবারকে মারধর, সদস্যদের চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
হাওড়ার ডোমজুড়ে ‘চোর’ সন্দেহে একই পরিবারের তিন জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁদের হাওড়া আদালতে হাজির করানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম আবুল হাসান লস্কর, ঈশা লস্কর, শ্যাম লস্কর, মোক্তার আলি, আরবাজ লস্কর, মেহবুল্লা মিদ্যে ও শাহরুখ লস্কর। হাওড়ার ডোমজুড় থানার অন্তর্গত কোরোলা এলাকায় চুরির অভিযোগে একই পরিবারের তিন জনকে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগে এই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। একই পরিবারের তিন জনকে মারধরের পর চুল কেটে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্য যাচাই করেনি)। ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, একই পরিবারের তিন জনকে পাশাপাশি বসিয়ে রাখা হয়েছে। বড় কাঁচি দিয়ে মহিলার চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করছেন না। অসহায় হয়ে বসে রয়েছেন মহিলা এবং তাঁর স্বামী। পাশেই রয়েছেন তাঁদের পুত্রও। এর পরেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
অভিযোগ, যে মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়েছে, তাঁদের মেয়ে ডোমজুড়ের উত্তর কলোড়া এলাকায় কাজ করতেন। ধৃত হাসান, ইশা এবং শ্যামের বাড়িতে তিনি কাজ করতেন। তাঁরা পেশায় ব্যবসায়ী। ২৫ দিন আগে ওই তরুণী প্রেমিককে বিয়ে করে হাসানদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এই সময়েই হাসানদের বাড়িতে ২০ লক্ষ টাকা চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীর পরিবারের সন্দেহ, পরিচারিকাই ওই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। এর পর তাঁকে না পেয়ে ডেকে পাঠানো হয় তাঁর পরিবারকে। তরুণীর বাবা, মা এবং ভাইকে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামে ঢুকলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তার পর থেকে গ্রাম ছেড়ে ১০ কিলোমিটার দূরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে না খেয়ে দিন কাটছিল বলে পুলিশকে জানান। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।