WB Panchayat Election 2023

সদ্যনিযুক্ত পুলিশদের ভোটের কাজে, জল্পনা

রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে প্রায় ৮৬৩২ জনের নিয়োগ হচ্ছে। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়েছেন। ১৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী প্রশক্ষিণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কেউ প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছেন, কেউ ডাকের অপেক্ষায়।

Advertisement

অভিযোগ, এমন অবস্থায় এই পুলিশ কর্মীদেরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা এবং ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ মহল। ভোটের আগে যে ক’দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে, তা দিয়েই তাঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ারও ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে প্রায় ৮৬৩২ জনের নিয়োগ হচ্ছে। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়েছেন। ১৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী প্রশক্ষিণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্তাদের দাবি, রাজ্য পুলিশে এখন কর্মীর সংখ্যা সাড়ে ৭৪ হাজার। বাহিনীতে শূন্য পদ রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে কনষ্টেবল পদে ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। এক পুলিশকর্তা জানান, ভোটের সময়ে সেই ঘাটতি প্রকট হয়েছে। তা ঢাকতেই এই সদ্য-নিযুক্তদের ভোটের কাজে ব্যবহারের ভাবনা শুরু হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভোট মিটলে এঁদের ফের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, বাহিনীতে কাজে যোগ দিলে প্রথমে ছ’মাসে আইনের পাঠ থেকে দৈহিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ করা হয়। প্রশিক্ষণের শুরুতেই বাহিনী ভোটের কাজে চলে গেলে ওই নিরবিচ্ছিন্ন প্রশিক্ষণ যেমন মার খাবে তেমন ভাবে পুলিশের কাজ সম্পর্কে কিছু না-জেনেই তাঁরা ডিউটিতে নামবেন। শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এই সদ্য যোগ দেওয়া পুলিশকর্মীদের ভোটের কাজে লাগানোর অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, “রাজ্য পুলিশে কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ ন্যূনতম ছ’মাসের হওয়া উচিত। কিন্তু সাত দিনের তড়ঘড়ি প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোটের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা চলছে। তিন দিনে অস্ত্র প্রশিক্ষণ হয়? রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছি।”

ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলে সাধারণত বাহিনীতে নতুন করে কাউকে নিয়োগ করা যায় না। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে নিয়োগ হলেও বর্ষা শুরু হলে প্রশিক্ষণে পাঠানো হয় না। তখন মাঠ প্রশিক্ষণের অনুপযুক্ত হয়ে যায়।রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, প্রশিক্ষণের অন্যতম হল অস্ত্র ব্যবহার। কী ভাবে, কখন তা ব্যবহার করা হবে, তা হাতেকলমে সেখানে শেখানো হয়। অভিযোগ, সেই প্রশিক্ষণ ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে ভোটের ডিউটিতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মত পুলিশকর্তাদের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement