গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বৈঠক হবে তো? হলে ফলপ্রসূ হবে তা? দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটবে? অনশন তুলবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা রাজ্য। সারা দেশের চিকিৎসক মহল। এমনকি প্রবাসীদেরও অনেকেই। আজ বিকেলে নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত কাল সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট সময়েই নবান্নে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। কিন্তু রাজ্য যে অনশন তোলার ‘শর্ত’ দিয়েছে, তা মানছেন না। অর্থাৎ অনশন কর্মসূচি চলাকালীনই বৈঠকে যোগ দেবেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। যদিও ক’জন বৈঠকে যাবেন তা রবিবার স্পষ্ট করেননি। আজ ১৭তম দিন স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরার। পরবর্তীতে অনশনে বসেছেন আরও পাঁচ জন। উদ্বেগ বাড়ছে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য নিয়েই।
নবান্ন বৈঠকে কি উদ্বেগের অবসান হবে
শনিবার অনশনমঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। অনশনকারী এবং অন্য আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ১০ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয় আন্দোলনকারীদের। ফোনেই অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মমতা। পাশাপাশি, সোমবার নবান্নে বৈঠকে আসার আহ্বানও করেন তিনি। সন্ধ্যার পর ইমেল করে মুখ্যসচিব জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জানান। কিন্তু সেই চিঠিতে রাজ্য সরকার কিছু ‘শর্ত’ বেঁধে দেয়। বলা হয়, অনশন তুলেই নবান্নে বৈঠকে যোগ দিতে হবে। বৈঠকে ১০ জনের বেশি আসা যাবে না। নবান্নের ‘শর্ত’ মেনে জুনিয়র ডাক্তারেরা বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে রবিবার প্যান জিবি বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারেরা বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। যদিও জানিয়ে দেন, অনশন তুলে বৈঠকে যাচ্ছেন না তাঁরা। ক’জন বৈঠকে যাবেন তা-ও গত কালের চিঠিতে স্পষ্ট করেননি তাঁরা। আজ নবান্নের বৈঠকে কী হয়, নজর থাকবে সে দিকে।
অনশনকারীদের স্বাস্থ্য
টানা ১৬ দিন ধরে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে ‘আমরণ অনশন’ চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অর্ণব মুখোপাধ্যায়, স্নিগ্ধা হাজরা এবং সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা প্রথম দিন থেকে অনশনে রয়েছেন। এ ছাড়াও পরে তাঁদের সঙ্গে অনশনে যোগ দিয়েছেন আরও কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গেও অনশনে অনড় সন্দীপ মণ্ডল নামে আরও এক জন। শুধু জল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ক্রমশ তাঁদের শরীর দুর্বল হচ্ছে। সেই সঙ্গে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। আজ অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থার দিকে নজর থাকবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর মৃত্যুর তদন্ত
কৃষ্ণনগরে তরুণীর মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে ঘটনার সময়ের ৬০ মিনিট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পুলিশ। যে স্থান থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল, শনিবার সেই জায়গা পরিদর্শন করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা। তরুণীর প্রেমিক এখনও পুলিশের হেফাজতে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। অন্য দিকে, এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বস্তুত, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন, বুধবার সকালে নদিয়া জেলা স্টেডিয়ামের পাঁচিলের ধারে দুর্গাপুজোর ফাঁকা মণ্ডপে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়। মায়ের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে বেরিয়েছিলেন মেয়ে। বেরিয়ে ফোন করে জানিয়েছিলেন, ওই যুবকের (প্রেমিক) সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে যাচ্ছেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। ওই মামলার তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে, নজর থাকবে আজও।
দিল্লিতে সেনা স্কুলের সামনে বিস্ফোরণের তদন্ত
দিল্লির রোহিণীতে রবিবার সকালে সিআরপিএফ স্কুলের সামনে যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সেটি ‘ডায়রেকশনাল ব্লাস্ট’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রভাব যাতে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, সেই কৌশলই ব্যবহার করা হয়েছে এ ক্ষেত্রে। বিস্ফোরণের পর পরই বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। পাশাপাশি সিআরপিএফ স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরে যায়। কেউ হতাহত হননি। কেন এই বিস্ফোরণ ঘটানো হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘূর্ণাবর্ত কি নিম্নচাপে পরিণত হবে
বিশেষ বুলেটিন প্রকাশ করে গতকাল মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল সাগরের উপর দিয়ে ক্রমেই পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে। তবে সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার দু’-এক জায়গায় হতে পারে বৃষ্টি। উত্তরের বাকি ছয় জেলায় সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।