বাংলার নবজাগরণ ৩.০
বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদ বা ‘বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল’-এর উদ্যোগে করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে (বইমেলা প্রাঙ্গণ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাঁচদিন ব্যাপী জমজমাট অনুষ্ঠান ‘বাংলার নবজাগরণ ৩.০’।
এই অভিনব ট্রেড ফেয়ারে ব্যবসায়িক আলাপচারিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ফুড স্টল, ফ্যাশন শো, হস্তশিল্পের দোকান এবং সাধারণ মানুষের জন্য বিনোদন, ছিল সবকিছুই।
বিগত বছরের মতো এ বছরেও বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের সদস্যদের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালিদের ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদেরও স্বাগত জানানো হয়েছিল এই মিলনমেলায়। এ বছর মোট ২৫ থেকে ৩০টি কোম্পানি ছিল এই ‘ট্রেড ফেয়ার’-এ।
২০২১ সালে শুরু হওয়া এই সংগঠনটির বর্তমানে সদস্য সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে এবং ক্রমাগত এই সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হল ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু ভুল ধারণা ও ভীতি কাটিয়ে বাঙালিদের ব্যবসার প্রতি আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলা।
যা কর্মসংস্থান, জীবিকা, সংস্কৃতির উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র সমাজের বিকাশে সুস্থ ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতেও সক্ষম হবে। সেই ভাবনা থেকেই ‘বাংলার নবজাগরণ ২.০’-এর দারুণ সাফল্যের পর আবারও আয়োজন করা হয়েহিল ‘বাংলার নবজাগরণ ৩.০’।
‘জর্জ টেলিগ্রাফ গ্রুপ’ ও ‘বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল’-এর যৌথ উদ্যোগে এই বছর আয়োজিত হয়েছিল ‘বাংলার নবজাগরণ ৩.০’। বিভিন্ন ধরনের স্টল ছাড়াও ‘হোম বিজ়নেস’কে উৎসাহিত করার জন্য একটা কনটেস্টও আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে আবেদন পড়েছিল তিন হাজারেরও বেশি। এ ছাড়াও ছিল রান্নার প্রতিযোগিতা, ‘কিডস্ ফান জ়োন’, ‘ফাইন্যান্স জ়োন’ ইত্যাদি। বিগত বছরের মতো এ বছরেও কিংবদন্তি ব্যবসায়ীদের সম্মাননা প্রদানও করা হয়।
এ ছাড়াও এই বছর সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য ছিল বিশেষ আকর্ষণ। মেলার প্রথম দিন মঞ্চ মাতাতে উপস্থিত ছিল জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ এবং তৃতীয় দিন ছিল বাংলা রক ব্যান্ড ‘ফসিল্স’। পাশাপাশি ছিলেন আরও অন্যান্য নামজাদা ব্যান্ডের শিল্পীরাও। দর্শকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
সব মিলিয়ে এই বছরেও দারুণভাবে অনুষ্ঠিত হল ‘বেঙ্গল বিজ়নেস কাউন্সিল’ আয়োজিত ‘বাংলার নবজাগরণ ৩.০’।
‘বাংলার নবজাগরণ ৩.০’-এর ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।