গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির এলাকায় কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট আজ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। পাশাপাশি, ভোটে কারচুপি রুখতে বুথে বুথে সিসি ক্যামেরাও বসানো হবে। মূলত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় হয়ে থাকে। সেই জায়গায় একটি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর এই নির্দেশকে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন অনেকে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে
কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৩০ জন প্রার্থী। কিন্ত সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষা আছে বলে ভোটগ্রহণ এবং গণনার জন্য স্কুলে জায়গা দিতে কর্তৃপক্ষ রাজি হননি। শেষ মুহূর্তে কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বদলানো হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর বেরা। গত সোমবার সেই মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ দিন কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু এ বার সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও তাঁর ছায়ার সঙ্গেই এ বার তৃণমূলের লড়াই বলে মনে করছেন অনেকে। আজ এই সংক্রান্ত খবরে নজর থাকবে।
‘এক দেশ এক ভোট’ বিল ঘিরে বিতর্ক
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবারই লোকসভায় এই সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। ‘এক দেশ এক ভোট’ কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা কমে যাবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না এবং তার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত নানা কাজকর্মের চাপ কমবে। যদিও একসঙ্গে সব নির্বাচন করার ব্যবস্থা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। আজ এই বিল ঘিরে বিতর্কের দিকে নজর থাকবে।
গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ভারতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, দিল্লি-কলম্বো সম্পর্কে জোর
তিন দিনের সফরে আজ ভারতে আসছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরাকুমার দিশানায়েকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। বামপন্থী নেতা দিশানায়েকে ‘চিনপন্থী’ বলে পরিচিত হলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কূটনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভারত এবং চিনের মাঝে পিষতে চায় না শ্রীলঙ্কা। দুই দেশকেই শ্রীলঙ্কার ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এই আবহে আজ তিন দিনের সফরে ভারতে আসছেন দিশানায়েকে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। ওই বৈঠকে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি, দিল্লিতে একটি বাণিজ্যিক সম্মেলনেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁরা। অনেকের মতে, ওই সম্মেলনে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা করতে পারেন তিনি। সম্প্রতি লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে স্থিতাবস্থা তৈরি হয়েছে। দিল্লি এবং বেজিংয়ের সম্পর্কও আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। এই আবহে দিশানায়েকেও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-বিতর্ক ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছেই। তার মাঝেই ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী ঢাকায় যান। বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারেন। সব বৈঠকেরই বিষয়-নির্যাস ছিল, দু’দেশের সম্পর্ক। মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের বিরোধী শেখ হাসিনার মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতও এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। তবে এই আবহে শনিবার হাসিনার এক বিবৃতি পোস্ট করেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। সেই বিবৃবিতে সরাসরি ইউনূস প্রশাসনের নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন হাসিনা। যদিও এ ব্যাপারে এখনও ভারত বা বাংলাদেশ কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আজ এই পরিস্থিতির দিকে নজর থাকবে।
বড়দিনের সপ্তাহ দুই আগে জাঁকিয়ে শীত, শৈত্যপ্রবাহও
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আজ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। সকালের দিকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং মালদহের বিস্তীর্ণ অংশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েক দিন পারদপতন অব্যাহত থাকবে, না কি তাপমাত্রা বাড়বে, সে দিকে নজর থাকবে আজ।