Firecrackers

High Court: নিষিদ্ধই থাকুক শব্দবাজি, ফের আবেদন কোর্টে

অতিমারির আগে থেকেই প্রতি বছর শব্দবাজি নিয়ে কোনও না-কোনও মামলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

Advertisement

করোনা আবহে গত বছর কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজি পোড়ানোর উপরে কলকাতা হাই কোর্ট যে-নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, এ বারেও তা বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে ফের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার সেই মামলা করার আবেদন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। পুজোর ছুটি চলাকালীন অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।

অতিমারির আগে থেকেই প্রতি বছর শব্দবাজি নিয়ে কোনও না-কোনও মামলা হয়। কিন্তু গত বছর পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়ায় বাজির দূষণ রোধে কড়া নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশের আগেই টালা বাজি বাজার সমিতি-সহ কলকাতার কয়েকটি বাজি ব্যবসায়ী সংগঠন নিজেরাই বাজি বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল। নাগরিকদের অভিজ্ঞতা, কোর্টের নির্দেশের ফলে গত বারের দীপাবলি অন্য রকম ছিল। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বাজি ফাটেনি রাজ্যে।

Advertisement

এ বার বাজি ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীদের অনেকেই। পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদত তথা আইনজীবী শুভঙ্কর মান্না বলেন, “গত বছর পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ ছিল। তাই কোর্টের নির্দেশের আগে আমরা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বাজি ব্যবসা বন্ধ রাখব বলেছিলাম। তাতে আর্থিক ক্ষতি হলেও সমাজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বারেও পুরো বন্ধ করে দিলে বহু বাজি ব্যবসায়ী ও কারিগর পথে বসবেন।” অনেক বাজি ব্যবসায়ীর যুক্তি, খোদ সরকারই পুজো সংক্রান্ত মামলায় আদালতে স্বীকার করেছে, পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল। এর পাশাপাশি টিকাকরণও হয়েছে। তাই নিয়ন্ত্রিত ভাবে বাজি বাজার করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে শিলিগুড়ির একটি পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা বাজি বিক্রির অনুমতি চেয়ে মামলা করে। তাতে সার্কিট বেঞ্চ পুলিশকে জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কাজ করতে বলেছে। সেই নির্দেশকে সামনে রেখে বাজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব এবং প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির বাজিগুলিকে অন্তত অনুমতি দেওয়া হোক। যদিও পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, বাজির বাজারে বেশির ভাগই প্রতিষ্ঠিত সংস্থার বাজি নয়। এ রাজ্যে কত বেআইনি বাজি কারখানা আছে, সরকার বা প্রশাসনও তা জানে না। তাই এক জনকে অনুমতি দিলেই কার্যত বাঁধ ভেঙে যাবে। পরিচিত সংস্থার নাম করে জাল বাজিও বিক্রি হবে। বাজি আদৌ ‘পরিবেশবান্ধব’ হয় কি না, সেই প্রশ্ন উঠতেই পারে। পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, বাজি পোড়ালো ধোঁয়া বেরোবেই। সেটাই ক্ষতি করতে পারে। শুভঙ্করবাবুও মেনে নিচ্ছেন, বাজি পোড়ালে ধোঁয়া হবেই এবং কোনও বাজিকেই পুরোপুরি দূষণহীন বলা যায় না। তাঁর বক্তব্য, চোখধাঁধানো আলো তৈরি করতে বাজিতে বেরিয়াম-সহ বিভিন্ন মারাত্মক বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেগুলির বদলে সনাতনী পদ্ধতিতে গন্ধক, কাঠকয়লার মতো উপাদান দিয়ে তৈরি বাজিকেই ‘পরিবেশবান্ধব বাজি’ বলা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement