সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার অবস্থায় রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে জোকার ইএসআই হাসপাতাল। আগেই এই বিষয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। বিশেষ সিবিআই আদালত প্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়ায় এ বার এই বিষয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে পারবে হাসপাতালটি।
ইএসআই হাসপাতালের ডিন মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। বোর্ডে থাকবেন এক জন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ, এক জন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এক জন চোখ-নাক-কানের রোগের বিশেষজ্ঞ। আদালতের নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, এসএসকেএমের সুপার তদন্তকারী আধিকারিকের হাতে সুজয়কৃষ্ণকে তুলে দেবেন এবং অ্যাম্বুল্যান্সে ‘কালীঘাটের কাকু’কে সহযোগিতা করার জন্য কিছু বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে পাঠাবেন। ইএসআই হাসপাতাল যাওয়ার পথে কলকাতা পুলিশ নিরাপত্তা দেবে সুজয়কৃষ্ণকে। তবে পুলিশকর্মী অপ্রতুল থাকলে বা না থাকলে তদন্তকারী আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চাইতে পারেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ইডির তদন্তকারী আধিকারিক অন্য পদাধিকারী এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের কর্তাদের নিয়ে এসএসকেএমের সুপার পীযূস কুমার রায়ের সঙ্গে দেখা করে। সুজয়কৃষ্ণ যেখানে ভর্তি রয়েছেন, সেই এসি ওয়ান কেবিনেও যান ইডি আধিকারিকেরা। ইডির তরফে সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসায় তত্ত্বাবধান করা হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে বোঝানো হয় কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি আদৌ কষ্টসাধ্য নয়। ইডির দাবি, ওই চিকিৎসক এবং সুজয়কৃষ্ণ নিজে কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষায় রাজি হলেও আপত্তি জানান সুপার। সুপার জানান, এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড এই বিষয়ে অনুমতি দেয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ‘শারীরিক অসুস্থতা’র জন্য দীর্ঘ দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ‘তদন্তের স্বার্থে’ অনেক দিন ধরেই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে ইডি। কিন্তু তাঁর শারীরিক ‘অসুস্থতা’র কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। বার বার হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হয়েছে তদন্তকারীদের। তার পরই আদালতে বিষয়টি তোলে ইডি।
প্রসঙ্গত, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন সুজয়। এমনই একটি অডিয়ো বার্তার কথা আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল, ওই অডিয়োতে সুজয়কৃষ্ণেরই গলা শোনা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।