কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্তকে ঘেরাওয়ের অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদিও উপাচার্য জানিয়েছেন, তাঁকে ঘেরাও করা হয়নি। দলীয় পতাকা নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে তাঁর দফতরে প্রবেশ করেছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রায় ২৩ জন সদস্য। দলীয় পতাকা নিয়ে প্রবেশ করতে বারণ করলে ঘরের বাইরে বসে কিছু ক্ষণ স্লোগান দেন তাঁরা। অভিযোগ করেন, দলীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। যদিও উপাচার্য অনড়।
বৃহস্পতিবার বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতরে স্মারকলিপি জমা করতে যান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্যান্টিনে খাবারের মান ভাল নয়। শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। পাখা, মাইক্রোফোন খারাপ। তাঁরা এ-ও দাবি করেন, দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। শান্তা তাঁদের পাল্টা জানান, তিনি উপাচার্য পদে বসেছেন মাত্র তিন মাস। এর মধ্যে তিনি কোনও অভিযোগ পাননি। এই প্রথম অভিযোগ পেলেন, যা পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে চান।
এর পরেই শান্তা পড়ুয়াদের জানান, তাঁদের অভিযোগ যেন বিশদে লিখে দেওয়া হয়। দলীয় পতাকা নিয়ে উপাচার্যের ঘরে প্রবেশ করতেও বারণ করেন তিনি। পড়ুয়ারা জানান, পতাকা তাঁদের শক্তি। জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘‘শক্তি পতাকা নয়, ছাত্রেরা।’’ এর পরেই ছাত্রদের তরফে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করেন না। জবাবে শান্তা ছাত্রদের বুঝিয়ে বলেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদকে সম্মান করেন। সঙ্গে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘আঠারো বছর বয়স’ এবং নজরুল ইসলামের ‘আমরা ছাত্র দল’ কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি।
এর পরেই উপাচার্য জানান, তাঁর ঘরে যখন আসবেন পড়ুয়ারা, কোনও দলীয় পতাকা নিয়ে নয়। ছাত্র হিসাবে আসতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘তাতে আমায় যদি মন্ত্রী, নেতা হুমকি দেন, ফোন করেন, আমার পদের লোভ নেই, এক দিনে ছেড়ে দিতে পারি।’’ এর পরেই উপাচার্যের দফতরের বাইরে বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা। অভিযোগ করেন, দলীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে।