শক্তি যাচাইয়ে সমীক্ষা করছে টিএমসিপি

সূত্রের খবর, ছাত্রভোট কয়েক মাস পরে হতে চলেছে ধরে নিয়েই রীতিমতো সমীক্ষা করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

কলেজে কলেজে নিজেদের শক্তি যাচাই করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সক্রিয় হল। সূত্রের খবর, ছাত্রভোট কয়েক মাস পরে হতে চলেছে ধরে নিয়েই রীতিমতো সমীক্ষা করছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন।
ইতিমধ্যেই সব জেলার টিএমসিপি নেতৃত্বের কাছে ছাপানো প্রশ্নমালা পৌঁছে গিয়েছে। তাতে এই মুহূর্তে কলেজে কলেজে টিএমসিপির শক্তি কতটা, কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি— এই সব তথ্য সমীক্ষায় উঠে আসবে। এসএফআই, এবিভিপি, ছাত্র পরিষদ, ডিএসও— এই ছাত্র সংগঠনগুলির শক্তির বিষয়ে বিশদে জানাতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সংগ্রহ করা হচ্ছে সেই কলেজের ছাত্র সংসদে ছাত্র প্রতিনিধিদের নাম-ধাম, ফোন নম্বর। কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। কলেজের তিন প্রিয় শিক্ষকের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের তথ্যও দিতে হবে।
শেষ বার রাজ্যে ছাত্রভোট হয়েছিল ২০১৬-’১৭ শিক্ষাবর্ষে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কলেজে অশান্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মডেলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়া হবে। পরে বিধানসভায় বিল এনে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। তবে এখনও তা গড়া হয়নি। কিন্তু এই ছাত্র কাউন্সিল গড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।
অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে টিএমসিপি-ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গত অগস্ট মাসে এক বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচিত ছাত্র সংসদের পক্ষেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মত দিয়েছে। তাই ছাত্র কাউন্সিল নয়, চাই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী সে দিন কথা বলে জানিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি ছাত্রভোটের সম্ভাবনা নেই।
তবে চলতি বছরে না হলেও ২০২০-তে ছাত্রভোট হবে বলেই টিএমসিপি সুত্রের খবর। তাই একটু আগে থেকেই নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে চাইছে টিএমসিপি নেতৃত্ব। টিএমসিপি সূত্রের খবর, এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী জেলায় জেলায় গিয়ে সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করার কর্মসূচিও নেওয়া হবে। তবে টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে শুক্রবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement