TMC

Bypoll: দ্রুত নির্বাচন চেয়ে তৃণমূল আজ কমিশনে

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পরাজিত হওয়ায় আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনগুলির মধ্যে ভবানীপুর আসন থেকে লড়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ও দু’টি কেন্দ্রে স্থগিত হওয়া নির্বাচন দ্রুত করানোর অনুরোধ জানাতে কাল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। সংক্রমণের তৃতীয় ধাক্কা আসার আগে এ’টিই নির্বাচন করার উপযুক্ত সময়।

Advertisement

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পরাজিত হওয়ায় আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনগুলির মধ্যে ভবানীপুর আসন থেকে লড়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরে কেটে গিয়েছে দুই মাস। আগামী চার মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে উপনির্বাচনে। বিজেপির দাবি, ছয় মাসের মধ্যে ভোট না-হলে নৈতিক ভাবে মমতার উচিত পদত্যাগ করা। প্রশ্ন উঠেছে, তাই কি কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল? এই প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “এখনই ওই কথা বলার সময় আসেনি। আমার মনে হয় এখন ওই আলোচনা করা উচিত নয়। ওই আলোচনার অর্থ হল আমরা আগেই ধরে নিচ্ছি সময়ে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। নির্বাচন কমিশন এমন কিছু করবে না যাতে সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।” তা হলে কেন এখন নির্বাচনের দাবি জানাতে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা? সুখেন্দুবাবুর মতে, নির্বাচন করার এটাই উপযুক্ত সময়।

কমিশনের কাছে যে কোনও দলের আবেদন জানানোর অধিকার রয়েছে। অতীতে কেরলায় রাজ্যসভার নির্বাচন করাতে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছুক নয় বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তাতে আদালত নির্বাচন করানোর নির্দেশ দেয় কমিশনকে। আমরা আইনি পথে না-গিয়ে বরং আবেদনের পথে নির্বাচন করার কথা জানাতে যাচ্ছি কমিশনের কাছে। তা ছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন। আগামী দিনে করোনার তৃতীয় ধাক্কা আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এখনই নির্বাচন সেরে ফেলা যুক্তিযুক্ত বলে মনে করে দল। রাজ্যের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর— এই দুই কেন্দ্রে স্থগিত হওয়া নির্বাচন হওয়ার কথা। বাকি শান্তিপুর ও দিনহাটা কেন্দ্রে দুই বিজেপি সাংসদ জেতার পরে পদত্যাগ করেছেন। সেখানেও উপনির্বাচন হবে। ভবানীপুর কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জেতার পরে পদত্যাগ করেন। যে আসন থেকে লড়ার কথা রয়েছে মমতার। খড়দহ কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী ভোটের ফল ঘোষণার আগেই এবং গোসাবা কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী শপথগ্রহণের পরে মারা যান। ফলে ওই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement