সম্প্রতি সিটু থেকেও প্রচুর নেতা-কর্মী আমাদের দলে এসেছেন। নতুন ইউনিট কমিটিতে সিটুর নেতাদেরও জায়গা দিতে হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি।
কাকে ছেড়ে কাকে রাখা হবে— এই প্রশ্নেই সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। আর এর জেরে আলিপুরদুয়ার জেলায় অর্ধেকের বেশি চা বাগানে এখনও দলের নতুন শ্রমিক সংগঠনের ইউনিট কমিটি তৈরি করতে পারেনি তৃণমূল। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগে চা বলয় অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ারের বাগানগুলিতে শ্রমিক সংগঠনের ইউনিট কমিটি গঠন না হওয়ায় চিন্তায় শাসকদলের জেলা নেতাদের অনেকেই।
একটি শিল্পে একটি ইউনিয়নের লক্ষ্যে অনেকদিন ধরেই কাজ শুরু করেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। যার জেরে চা শিল্পে থাকা দলের ছ’টি ইউনিয়নকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়। নাম দেওয়া হয় তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন। গত এপ্রিলে ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আরও কিছু নাম যোগ করা হয়। ঘোষণা করা হয় ইউনিয়নের কোর কমিটিও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, নতুন সংগঠন গড়তে চা শিল্পে থাকা যে ছ’টি ইউনিয়নকে এক ছাতার তলায় আনা হয়েছে, তার মধ্যে তিনটির অস্তিত্ব আলিপুরদুয়ারের বাগানগুলিতে ছিল। কিন্তু নতুন সংগঠন তৈরি হতেই বাগানে ওই ইউনিয়নগুলি কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। অথচ, জেলার বেশিরভাগ বাগানেই নতুন সংগঠনের ইউনিট কমিটি গঠনও হয়নি। জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, “মূলত চা বলয়ের ভোটের উপর ভর করেই গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে বড় সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে টানা কয়েক মাস ধরে আমাদের দলের শ্রমিক সংগঠনের ইউনিয়ন না থাকাটা চিন্তার।”
আলিপুরদুয়ার জেলায় চা বাগান রয়েছে ৬৪টি। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, “জেলায় দলের তিনটি চা শ্রমিক ইউনিয়নকে এক করা হয়েছে। সম্প্রতি সিটু থেকেও প্রচুর নেতা-কর্মী আমাদের দলে এসেছেন। নতুন ইউনিট কমিটিতে সিটুর নেতাদেরও জায়গা দিতে হচ্ছে। তার পরেও জেলায় প্রায় চল্লিশ শতাংশ বাগানে ইউনিয়নের ইউনিট কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে।” তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের অবশ্য দাবি, জেলায় ৮৫থেকে ৯০ শতাংশ বাগানেই ইউনিট কমিটি হয়ে গিয়েছে। বাকি চা বাগানে ১৫মে-র মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন ইউনিয়নের কাজ আমাদের নজরদারিতে থাকছে।”