Nandigram TMC worker murdered

মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন! অভিযুক্ত বিজেপি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগে নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৯
Share:

তৃণমূল কর্মী খুন নন্দীগ্রামে। অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগে নন্দীগ্রামে খুন তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শাসকদলের কর্মী খুনের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই লড়েছিলেন মমতা। কিন্তু হেরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। বর্তমানে শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর জালপাই এলাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, স্থানীয় বুথ সভাপতি গুরুপদ মণ্ডল এবং তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়েরা বেরিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়েরাই বিষ্ণুপদকে গুরুতর জখম অবস্থায় তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। গুরুপদ বর্তমানে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম জুড়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্‌ধ ডেকেছে তৃণমূল। দোষীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এই বন্‌ধ চলবে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে তমলুক হাসপাতাল থেকে বিষ্ণুপদের দেহ নিয়ে তাঁর বাড়ি যাবেন জেলার নেতারা। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে সোমবার তমলুকে যাচ্ছেন দলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারও।

রবিবার ‘তমলুক এগ্রিকালচারাল সোসাইটি’র নির্বাচন ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রাম। বুথ দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি। ওই নির্বাচনে শুধু নন্দীগ্রামেই জিতেছে বিজেপি। জেলার বাকি সর্বত্র তৃণমূল জিতেছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরেই তৃণমূলের দুই নেতা-কর্মীদের উপর হামলায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য কর বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরাই এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। রবিবার তমলুক সমবায় ভোট ছিল। ভোটে সন্ত্রাস চালিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছে বিজেপি। তার পরেই খেজুরি থেকে দুষ্কৃতীদের এনে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। অভিযুক্তেরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য নন্দীগ্রামে বন্‌ধ পালনের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।’’

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। দু’জনেই মত্ত ছিলেন। ওঁরা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement