West Bengal Panchayat Election 2023

পঞ্চায়েতের পুবর্নির্বাচনে জয় বেশি শাসক তৃণমূলের, বিরোধীরা বলছেন, ভোট নয় প্রহসন

আগামী ২০ জুলাই কলকাতা হাই কোর্টে সংশ্লিষ্ট একটি মামলার শুনানি রয়েছে। আদালত আগেই জানিয়েছিল, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হলেও, বিষয়টি এই মামলার রায়ের উপরে নির্ভর করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ০৭:৩২
Share:

পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতার পর তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।

এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় সাতশো বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেগুলির যে ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে এগিয়ে শাসক দল তৃণমূলই। বিরোধীদের বক্তব্য, গণনা নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ফলে এই ফলাফল কার্যত প্রহসনেরই নামান্তর। যদিও তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, মানুষের রায় তাদের পক্ষেই যে রয়েছে, এটা তার প্রমাণ।

Advertisement

গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের পরের দিনই ৯ জুলাই যাচাই-প্রক্রিয়ায় ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ওই দিন রাতে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে সেই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ১০ জুলাই পুনর্নির্বাচন হয় সেই বুথগুলিতে। কমিশন সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ওই পুনর্নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ৪৭০টি আসন। বিজেপির দখলে গিয়েছে ১০৩টি। কংগ্রেস ৯১, সিপিএম ৬২, নির্দল ২৬টি আসনে জয়লাভ করেছে। সব মিলিয়ে ৭৬২টি আসনের ফলাফল সামনে এনেছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছেন, ৬৯৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৬টিতে একাধিক বুথ ছিল। সেই কারণে ৭৬২টি আসনের ফলাফল সামনে আনা হয়েছে।

বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের দিনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। গণনার দিন জালিয়াতির অভিযোগ ভিন্ন মাত্রা পায়। তাই এই ফলাফলকে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তাঁরা। তৃণমূলের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে বেশিরভাগ আসন জিতে সর্বাধিক ভোটের হার তাঁদের পক্ষে গিয়েছিল। পুনর্নির্বাচনেও তাদের অনুকূলে ভোটারদের আস্থা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী ২০ জুলাই কলকাতা হাই কোর্টে সংশ্লিষ্ট একটি মামলার শুনানি রয়েছে। আদালত আগেই জানিয়েছিল, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হলেও, বিষয়টি এই মামলার রায়ের উপরে নির্ভর করবে। কমিশনও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিজয়ী প্রার্থীদের সে কথা জানিয়ে দেওয়ার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রথমে স্থির ছিল, ২৮ জুলাই থেকে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যাতে রীতি মেনে তার পরের ২১ দিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়। কিন্তু আদালতের ওই নির্দেশের পরে আপাতত সে ব্যাপারে তেমন তৎপরতা পঞ্চায়েত দফতরের মধ্যে এখনও নেই বলে সূত্রের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement