প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে আছেন, মালদহে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, ‘‘বিরোধীরা সুযোগ না পায়, তাই আচমকা খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কোনও লাভ হবে না। আমরা লড়াই করব।’’ একই সঙ্গে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ তাঁদের দখলে ছিল, সে কথা জানিয়ে অধীর অভিযোগ করেন, ‘‘এই দুই জেলা জোর করে লুট করা হয়েছিল।’’
দুই জেলাই তাঁরা ক্ষমতা দখল করবেন বলে দাবিও করেছেন তিনি। যদিও তাঁর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের জেলায় কোনও সংগঠন নেই। অধীরবাবুরা বুঝতে পেরে এখন থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের কথা বলছেন। তাতে কোনও লাভ হবে না।’’
এ দিন মালদহের কোতোয়ালি ভবনে কংগ্রেসের রাজ্য পর্যবেক্ষক এ চেল্লা কুমার, সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, ইশা খান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে ভাঙন কবলিত এলাকায় পদযাত্রারও ডাক দেন অধীর। তিনি বলেন, “ভাঙন রোধে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার উদাসীন। কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় ভাঙনকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সেই সময়, ভাঙন রোধে কেন্দ্রের টাকাও মিলেছিল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘স্বরাষ্ট্র দফতরে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৬০০ কোটি টাকার বেশি পড়ে রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভাঙন নিয়ে এ দিনই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি রাজ্যের দিকে বল ঠেলেছেন। রাজ্য ভাঙন রোধে কেন্দ্রের কাছে কোনও দাবি করছে না। এমনকি, মুখমন্ত্রী একবারও ভাঙন কবলিত এলাকায় যাননি।” আগামী, ১৫ নভেম্বর ভাঙন কবলিত এলাকায় পদযাত্রা করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “রাজ্য নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী ভাঙন রোধের কাজ করছে। অধীরবাবুদের উচিত সংসদে গিয়ে কেন্দ্রের উপরে ভাঙন রোধের কাজের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। শামসেরগঞ্জেও ভাঙন রোধে ৪০ কোটি টাকার কাজ চলছে।” বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যের অসহযোগিতায় ভাঙন রোধের কাজ কেন্দ্র করতে পারছে না।” এ সবের মাঝে রাজনৈতিক চাপানউতোরের বদলে ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, ফরাক্কা, শমসেরগঞ্জের নদী পারের বাসিন্দারা।