পশ্চিমবঙ্গে সাতটি বিধানসভার ভোট বাকি রয়েছে।
উপনির্বাচনের দাবিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাচ্ছে তৃণমূল। আগামী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উপনির্বাচনে দাবি জানাবে। পশ্চিমবঙ্গে সাতটি বিধানসভার ভোট বাকি রয়েছে।
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সাধারণ নির্বাচন-সহ ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা ও গোসাবায় উপনির্বাচন হবে। কিন্তু এখনও উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন। কোভিড সংক্রমণের কারণেই কমিশন উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কিন্তু বাংলার শাসক শিবির চাইছে দ্রুতই হোক এই উপনির্বাচন।
৫ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছেন। তাঁকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করতে হবে।
তাই তৃণমূল নেতৃত্ব দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা খুব নির্দিষ্ট ভাবে বলে আসছি, উপনির্বাচন করানো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যেই পড়ে। বিরাট কোনও প্রচারে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এখন মানুষ সব জানেন। এখন আর নতুন করে কী প্রচার হবে? ফলে ৭ দিন প্রচার হলে যথেষ্ট। সেখানে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। যা হবে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনেই। তাই আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব আপনাদের সময়ও বেশি দিতে হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে হেতু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই ছ’মাসের মধ্যে হওয়া উচিত। তা ছাড়া কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কমে গিয়েছে। এবং রাজ্য সরকার ও প্রশাসন যা যা করণীয়, সবকিছু করছে। ফলে এটাই কিন্তু আইডিয়াল সময় উপনির্বাচনটা করে নেওয়ার।’’
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর বিধানসভা থেকে গত ২১ মে পদত্যাগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সম্ভবত সেই আসনে প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর খড়দহে ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রয়াত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। সেই আসনে আবার তৃণমূল প্রার্থী হবেন শোভনদেব। আর শান্তিপুর ও দিনহাটা থেকে জিতে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপি-র সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর গত জুন মাসে প্রয়াত হয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। আর প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে। তাই এই সব আসনে সাত দিনের প্রচারের সময় দিয়েই ভোট করানোর পক্ষপাতী তৃণমূল।