সতর্কবার্তা দলের ফাইল চিত্র
কাজের জন্য টাকা নেওয়া বা ফাইল আটকে না রাখা নিয়ে কর্মচারী সংগঠনকে সতর্ক করল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘দুয়ারে সরকার’ বা ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে এ ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিল শাসকদল।
সরকারি দফতরের কাজ সহজে পৌঁছতে এখন এই জোড়া প্রকল্পেই ব্যস্ত রাজ্য প্রশাসন। সেই কাজে প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সতর্ক করতে মঙ্গলবার তৃণমূল সমর্থন কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের চেয়ারম্যান হিসেবে সেখানে পার্থবাবু বলেছেন, ‘এই দু’টি কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসছেন। অর্থের বিনিময়ে কাজ করা বা অকারণে কাজ আটকে রাখার অভিযোগ না থাকে।’ দলের কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য ও জেলার বাছাই করা নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী এই অভিনব পদক্ষেপ করেছেন। তা কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারি কর্মচারীদের।’
তৃণমূল সমর্থক সরকারি কর্মচারী সংগঠনের এই রকম বৈঠক অনুষ্ঠিত হল প্রায় এক বছর বাদে। কর্মচারীদের সিংহভাগ শাসকদলের সঙ্গে থাকলেও সংগঠনের রাজ্য বা জেলা স্তরের কোথাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। দীর্ঘদিন কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্ব ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে আলোচনা হলেও এখন তা হয়নি। এ দিনের বৈঠকে প্রত্যেক জেলা থেকে দু’জনকে বেছে নিয়ে অ্যাডহক রাজ্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে।
সংগঠনের নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু রায় জানিয়েছেন, এখন থেকে কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যপদের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করবেন তাঁরা। যাঁরা রাজনৈতিক ভাবে দূরে ছিলেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে তাঁদের সম্পর্কে কি মনোভাব নেওয়া হবে? জেলা নেতাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বৈঠকে পার্থবাবু জানিয়ে দেন, নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেকেই পরে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তাঁদের মতোই কর্মচারীদেরও সকলকে দলের ছাতার তলায় নিতে হবে। সেক্ষেত্রে দুর্নীতির দাগ রয়েছে এমন কর্মচারীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।