ফাইল চিত্র।
গত দু'দিন ধরে চলা তৃণমূল নেতাদের বাকযুদ্ধে রাশ টানতে চান তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পুরভোট না করা' ও 'ডায়মন্ডহারবার মডেল' মন্তব্যের পাল্টা মুখ খুলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের হয়ে জবাব দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার নাম না করে কটাক্ষ করেন কল্যাণকে।
বৃহস্পতিবার দিনভর সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিল কল্যাণ-কুণাল তরজা। শুক্রবার সেই বিতর্কের আগুনে ঘি দেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি আবার অভিষেকের সমর্থনে এগিয়ে এসে সরাসরি লোকসভার মুখ্যসচেতকের পদ থেকে কল্যাণের ইস্তফার দাবি করে বসেন। এরপরেই কঠোর পদক্ষেপ করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতা থেকে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা ফোন করেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদকে। ওই শীর্ষ নেতা অপরূপার কাছে জানতে চান কার নির্দেশে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন? সঙ্গে কড়া ধমক দিয়ে আরামবাগের সাংসদকে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা থেকে বিরত থাকতে বলেন তৃণমূলের ওই 'ওজনদার' নেতা।
সঙ্গে কল্যাণ-কুণাল বাকযুদ্ধে রাশ টানতেও পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে দলের নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। তা দল ভাল ভাবে নেয়নি। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সূত্রের খবর, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংযত থাকতে বলেছেন। সঙ্গে পরস্পরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি, নেটমাধ্যমেও নাম না করে কৌশলে পরস্পরকে বিঁধেছেন তৃণমূলের দুই বিবাদমান গোষ্ঠী। তাই নেটমাধ্যমেও যাতে কোনও নেতা কারও বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য না করেন, সে বিষয়েও ওই নেতাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। কারণ, অভিষেককে সমর্থনের প্রশ্নে নেটমাধ্যমে পরস্পরের বিরুদ্ধে তরজায় জড়িয়ে পড়ছেন নিচুতলার নেতা- কর্মীরাও। সেই প্রবণতা রুখতেই দ্রুত এ বিষয়ে রাশ টানতে চান তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।