আগামী বছরের গোড়াতেই কলকাতাসহ রাজ্যের সব পুরসভার ভোট সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। রাজ্যে পুরনিগম ও পুরসভার মোট সংখ্যা ১৩২। সম্ভব হলে সব ক’টি তেই ভোট ফেব্রুয়ারি মাসে করার চেষ্টা চালাচ্ছেন শাসক দলের শীর্ষনেতৃত্ব। এই প্রস্তাব নিয়ে শাসক শিবিরে আলোচনা হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরেও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শীত পুরোপুরি চলে যাওয়ার আগেই ভোট হলে ভাল। সে ভাবেই বিষয়টি ভাবা হয়েছে।
দলীয় বৈঠকে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করতে চান তাঁরা। এই নির্ঘন্ট চূড়ান্ত হলে কলকাতার মতো কয়েকটি পুরসভার ভোট হবে মেয়াদ ফুরনোর আগেই। আবার যে সব পুরসভার মেয়াদ তার আগে শেষ হয়ে যাবে, সেগুলিতে বোর্ড তৈরি হবে নির্দিষ্ট সময়ের পরে।
লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার রাজনৈতিক হাওয়া কিছুটা জোরালো হয়েছে। লোকসভায় গতবার হাতে থাকা ১২টি আসন তৃণমূল হারিয়েছে। পুরসভার নিরিখেও সেই ক্ষত কম নয়। লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের পরে দলবদলের জেরে একাধিক পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়াও হয়েছে। মেয়াদ ফুরনো পুরসভাগুলির ভোটও বিজেপির বাড়বাড়ন্তের আবহে কবে হবে, তা নিয়ে প্রথমে জল্পনা চলছিল। কিন্তু বিজেপি যেখানে দ্রুত দখল নিচ্ছে, সেই জায়গা ফেলে রাখলে রাজনৈতিক ক্ষয় আরও বাড়বে, এই আশঙ্কা থেকেই ভোট এগিয়ে আনার কথা ভাবছেন শাসক দলের নেতৃত্ব।
মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া বেশ কিছু পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করায় পরিষেবা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের জন্য দলের বুথভিত্তিক প্রস্তুতি রয়েছে। তা কাজে লাগিয়েই দলের নেতা-কর্মীরা ভোটের কাজে নেমে পড়তে পারবেন। পুরমন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘‘শীতে ভোট করে নিতে পারলে সকলেরই সুবিধা হবে।’’