প্রতীকী ছবি।
নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়া বন্ধ করেছেন আগেই। এ বার গত একমাস ধরে গোটা দল নেমে পড়লেও 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধায়ক তথা সর্বভারতীয় তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষ। তাঁর দাবি, দলকেও তিনি এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
গত লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরে সারা রাজ্যে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছে তৃণমূল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার বিধায়ক তমোনাশ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনের অন্তর্গত ফলতা থেকে পরপর দু’বার নির্বাচিত তমোনাশ বলেন, ‘‘এখানে সংগঠন যেভাবে চলছে তাতে আমি এই কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কথা দলনেত্রীকে জানিয়ে দিয়েছি। দলের অন্য শীর্ষ নেতাদেরও বলেছি।’’ দল থেকে আপাতত তাঁকে ফলতায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তমোনাশ অবশ্য বিধানসভায় নিয়মিত আসছেন। পরিষদীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্মও করছেন।
কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী এই নেতা শুধু দলের বিধায়কই নন, তৃণমূলের আদি নেতাদের অন্যতম মুখ হিসেবেই পরিচিত। সারদা-তদন্তে তৃণমূলের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে সম্প্রতি তাঁকেও তলব করেছিল সিবিআই।
ফলতার এই বিধায়কের সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। তাঁর অভিযোগ, প্রার্থী বাছাই, মনোনয়ন, ভোট প্রক্রিয়া এবং বোর্ড গঠন পর্যন্ত পঞ্চায়েতের সব কাজেই ‘ব্রাত্য’ ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটেও নিজের কেন্দ্রে দলের কাজ করার সুযোগ ছিল না। করিনি। গত আট-নয় মাস আমি বিধানসভা কেন্দ্রে যাইনি। সেখানে সেই পরিস্থিতি নেই।’’
দলীয় সূত্রে খবর, ফলতায় দলের রাশ কয়েক বছর ধরেই যুব তৃণমূলের হাতে। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রের সাংসদ হওয়ায় স্থানীয় যুব নেতারা তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবশালী। তাঁদের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণেই দলের কাজ থেকে দূরত্ব বেড়েছে আদি অংশের এই নেতার। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি না হলেই ভাল হত। নেত্রী দেখছেন। যা ভাল বুঝবেন, তিনিই করবেন।’’