‘দূর হটো’ বলেও সৌজন্য তৃণমূলের

নরমে-গরমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ‘স্বাগত’ জানানোর পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০২:২৪
Share:

প্রস্তুতি: মেয়ো রোডে আজ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভার আগে তৃণমূলের প্রচার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

নরমে-গরমে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে ‘স্বাগত’ জানানোর পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল।

Advertisement

অসমের নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ লোককে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এই রাজ্যে আজ দিনভর ধিক্কার দিবস, প্রতিবাদ সভা, মিছিলে কালো পতাকা দেখানোর কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু কলকাতায় আজ কোনও প্রতিবাদ মিছিল বা বিক্ষোভ দেখানো হবে না বলে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘শাহের সভার জন্যই সৌজন্যবশত কলকাতায় আমরা শনিবার কোনও রকম বিক্ষোভ দেখাব না। কলকাতায় বিক্ষোভ সভা হবে রবিবার।’’

তবে জেলায় তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি বহাল থাকছে। তার প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হুমকি, ‘‘আমাদের কর্মীদের পথ আটকালে সংঘর্ষ হবে। তখন বলবেন না, বিজেপি গুন্ডামি করছে।’’

Advertisement

এ দিকে শাহের সভাস্থল, সভার আশপাশের রাস্তা ছেয়ে গিয়েছে ‘বাংলার শত্রু বিজেপি দূর হটো’ ব্যানারে। সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা চত্বর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে লেখা ‘উন্নয়নের প্রতীক, লহ প্রণাম’ হোর্ডিং। হোর্ডিংগুলি কারা দিয়েছে, তার কোনও উল্লেখ নেই। বিজেপির অভিযোগ,

বৃহস্পতিবার রাতে যখন শাহের সভামঞ্চ গড়ার কাজ চলছে, তখন আচমকা এক দল যুবক মোটরবাইক চড়ে এসে সেখানে তৃণমূলের হোর্ডিং লাগিয়ে যায়। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য, ‘‘আমাদের এ সব করার দরকার পড়ে না। আসলে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই নিজেরাই এ সব করে বাজার গরম করতে চাইছে।’’

শাহ অবশ্য তৃণমূলের কোনও হোর্ডিং বা পতাকা সরিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁর যে মনোভাব পৌঁছেছে, তা হল ওই সব হোর্ডিং, পতাকা যেমন আছে, তেমন থাকবে। সেগুলি অগ্রাহ্য করে সভা করাই হবে ‘যোগ্য জবাব’।

দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘তৃণমূল যে ভাবে অমিত শাহকে স্বাগত জানাচ্ছে, এর পর আমরাও সে ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাব।’’ তাঁর আরও হুমকি, ‘‘হনুমানজি লেজের আগুনে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছিলেন। তৃণমূল লেজে আগুন দিচ্ছে। এর পর মমতাজির সোনার বাংলাতেও লঙ্কাকাণ্ডই ঘটবে।’’ তৃণমূলের এক নেতার পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘কৈলাসজিকে ধন্যবাদ নিজেদের পরিচয় স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য। তবে যারা লঙ্কাকাণ্ড ঘটায়, মানুষ তাদের খাঁচার

ভিতরে দেখতে অভ্যস্ত! রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনও মোকাবিলায় তৈরি আছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement