এই ছবি নিয়েই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
গরিবের দুয়ারে পাত পেড়ে খাওয়া নিয়ে একসময় কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছিলেন। সেই কটাক্ষই ফিরে পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নেপথ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বঙ্গ সফর। কৃষক পরিবারের দুয়ারে শাহের পাত পেড়ে খাওয়া এবং তার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার নিয়ে তাঁকে একহাত নিল জোড়াফুল শিবির।
শুক্রবার মধ্যরাতে দু’দিনের সফরে কলকাতা পা রাখেন শাহ। তার পর শনিবার মেদিনীপুরে গিয়ে তৃণমূল-ত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপি-তে স্বাগত জানান। সেই নিয়ে দিনভর সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি।
তার মধ্যেই বালিজুড়িতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এ রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি কৈলাসবর্গীয় এবং দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে সেখানকার এক কৃষক পরিবারে পাতপেড়ে মধ্যাহ্নভোজন সারেন শাহ। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে সেই ছবিও পোস্ট করেন। এমনকি বিজেপির তরফেও তাঁর সেই ছবি নিয়ে দেদার প্রচার চালানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তা নিয়েই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় তৃণমূল। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে দরিদ্র পরিবারের দাওয়ায় বসে খাওয়া নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছিল মোদীকে। রাহুলকে কটাক্ষ করে সেইসময় টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দারিদ্র্যকে পর্যটনে বিশেষ ভাবে দক্ষ কংগ্রেস নেতারা। ক্যামেরা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন তাঁরা। গরিব মানুষের সঙ্গে বসে খাবার খান। সেই ছবি নিয়ে প্রচার করে বেড়ান’।
মোদীর সেই টুইট তুলে ধরে রাজ্য তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘উপস,’ বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘এই রে’। তবে এই প্রথম নয়, সমুদ্রসৈকতে আবর্জনা সাফ করা হোক বা ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে ছবি তোলা, ক্যামেরা-প্রীতি নিয়ে আগেও একাধিকবার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী।