সোমবার নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সমাবেশে ডিমভাত খাওয়ানোর রেওয়াজ অনেক দিনের। তা নিয়ে কটাক্ষও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। বানান বিকৃত করে সমাজমাধ্যমে অনেককে ‘ডিম্ভাত’ লিখতেও দেখা গিয়েছে। এ বার দলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই ডিমভাত খাওয়ার উপরেই জোর দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেখানে আগামী দু’মাসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিছক জনসংযোগ নয়, এই কর্মসূচির লক্ষ্য ‘মা-মাটি-মানুষের জীবনের সঙ্গী’ হওয়া। সোমবার নজরুল মঞ্চের সভায় ওই কর্মসূচিকে তৃণমূলের ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে ঘোষণা করে অভিষেক জানান, এটি বাংলার ১০ কোটি মানুষের জন্য ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে ‘দিদির দূত’। এই কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মধ্যাহ্নভোজের যেমন নির্দেশ রয়েছে তেমন রাত্রিবাসও করতে হবে। কয়েকটি পর্যায়ে হবে এই কর্মসূচি।
মধ্যাহ্নভোজ প্রসঙ্গেই মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যাতে খাওয়াদাওয়ায় কোনও বৈভব প্রকাশ না পায়। মাছ, মাংসের পরিবর্তে সস্তার ডিমভাতের উপরেই জোর দিয়েছেন মমতা। তবে গ্রামের খালবিলে পাওয়া ছোট মাছ খাওয়া যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। মমতা বলেন, ‘‘মধ্যহ্নভোজ মানে এলাহি আয়োজন নয়। ডাল, ভাত, তরকারি, বড় জোর একটু ডিমের ঝোল! গ্রামে খালবিলে অনেক রকম ছোট মাছ পাওয়া যায়। তা দিয়েই খাওয়াদাওয়া সারতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, অতীতে বিরোধী দল বিজেপিকেও এই ধরনের কর্মসূচি নিতে দেখা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তো বটেই অন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছেন। অনেক সময় তা নিয়ে তৃণমূল এলাহি খাওয়াদাওয়ার অভিযোগ তুলেছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপিও যাতে পাল্টা অভিযোগ না তুলতে পারে সেটা নিশ্চিত করতেই মমতা আগাম সতর্ক করে দিলেন দলের নেতা-কর্মীদের।