গঙ্গাসাগর মেলার পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় ওই বৈঠকে খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
আগামী ২১ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠক হবে নবান্ন সভাঘরে। ২০২৩ সালের ১০-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। পৌষ সংক্রান্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো লাখো মানুষ এই দ্বীপে পুণ্যস্নান করতে আসেন। তাই পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় ওই বৈঠকে খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন ১৮টি দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, অন্যান্য সচিব, কলকাতা পুরসভার কমিশনার এবং দক্ষিণ ২৪-পরগনার জেলাশাসক। আর দিন কুড়ি পরেই গঙ্গাসাগরে মেলা শুরু হয়ে যাবে। তাই স্বভাবতই প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরকদমে। মুড়িগঙ্গা থেকে পলি তোলার কাজ চলছে। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সাগরে যাচ্ছেন। মেলা আয়োজনের ৮০ শতাংশ দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে। তাই দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়ও সাগরে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি গিয়ে দেখে এসেছেন। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে থাকতে পারেন বলে খবর।
প্রতি বছরই মেলার আগে প্রস্তুতি পর্ব সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে সাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এ বারও ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে তাঁর সাগরে যাওয়ার সম্ভাবনা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে ২১ তারিখের বৈঠকে মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার পরেই সাগরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাকাল কাটিয়ে গত বছর থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে সাগরমেলা। তবে এ বার করোনা আতঙ্ক একেবারেই নেই। তাই রাজ্য সরকার মনে করছে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করতে রেকর্ড ভিড় হবে। এমনটা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নবান্নের এক আধিকারিক। এই মেলার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হবে নবান্নে। আট দিন ধরে চলবে এই বিশেষ কন্ট্রোল রুম। যেখানে পালা করে দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন আইএএস এবং ১০ জন ডব্লুবিসিএস আধিকারিক। সাগরের পাশাপাশি কলকাতাতেও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। কারণ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীরা প্রথমে এসে পৌঁছন কলকাতার বাবুঘাটে। সেখান থেকে রওনা দেন গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। সেই কারণে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বাস, পানীয় জল নিশ্চিত করতে একাধিক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।