ছেঁড়া হচ্ছে শুভেন্দুর পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
তখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করেননি। একে একে পদগুলি ছাড়তে শুরু করেছিলেন সবে। তাতেই তাঁর প্রতি আনুগত্য দেখানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। ‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল চারদিক। শুভেন্দু পাকাপাকি ভাবে পদ্মশিবিরে চলে যাওয়ার পরেও একই পরিস্থিতি। তবে এ বার আর আনুগত্য নয়, বরং ‘দাদা’কে নিয়ে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ।
মঙ্গলবার দিনভর মালদহের বিভিন্ন জায়গায় এমনই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ চোখে পড়ল। ব্লকে ব্লকে শুভেন্দুর পোস্টার ছিঁড়লেন তৃণমূল সমর্থকরা। পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও দেখা গেল। তাঁর নামে পাল্টা ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘মিরজাফর’ লেখা পোস্টারও পড়ল অলিতেগলিতে।
দিনভর এই ঘটনায় তেতে উঠেছে মালদহের রাজনৈতিক আবহ। শুরু হয়েছে দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপের পালাও। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই দলের কর্মীদের নামিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটাই ওদের আসল সংস্কৃতি।
আরও পড়ুন: আইন ফিরিয়ে নিন! প্রধানমন্ত্রীকে রক্তে লেখা খোলা চিঠি পাঠালেন কৃষকরা
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির রাজীব, পাল্টা ‘কঠোর’ হওয়ার সঙ্কেত দলের
তৃণমূলের তরফে যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, তৃণমূল-কংগ্রেস এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। এই ধরনের ঘটনা যদি কেউ ঘটিয়েও থাকেন, তার পুরোটাই ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। দলের কর্মীরা যাতে এমন কোনও অনভিপ্রেত ঘটনায় না জড়ান, তার জন্য তাঁদের সতর্ক করা হবে বলেও জানানো হয়।