মাস্ক ছাড়া: দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নেই দূরত্ব-বিধি। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিকাশ মশান
নেতা এলেন। দূরত্ববিধি মানতে বললেন। কিন্তু মানলেন ক’জন!—বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে ভিড়কে কেন্দ্র করে এমনই কটাক্ষ তৃণমূলের।
দুর্গাপুরের মেনগেট এলাকায় এ দিন সকালে দিলীপবাবু ‘চায়ে পে চর্চা’য় বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন সবাই। হয়তো আমিই বাহক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকায় বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু আমার থেকে অন্যদের ছড়াতে পারে।’’ কিন্তু প্রথম দিকে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের বিধি মানতে দেখা গেলেও, সময় গড়াতে ‘বাঁধন ভাঙে’ বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের। এমনকি, বক্তব্য রাখার সময়ে দিলীপবাবুকেও ‘মাস্ক’ ছাড়া দেখা গিয়েছে। তবে এ সব কথা মানেননি বিজেপির জেলা সভাপতি (পশ্চিম বর্ধমান) লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।
তৃণমূল ও এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, একই ছবি দেখা গিয়েছে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে দিলীপবাবুর কর্মী-বৈঠক ঘিরেও। দিলীপবাবুর গাড়ি পৌঁছতে বিষ্ণুপুরে রাসমঞ্চের কাছে ও বাঁকুড়ার মনোহরতলা লাগোয়া লজের সামনে সমর্থকদের মধ্যে কার্যত গুঁতোগুঁতি শুরু হয়। কত লোক হয়েছিল? বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহারের হিসেব, “প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ এসেছিলেন!’’
আরও পড়ুন: ৫০% কর্মী দিয়ে কাজ সরকারি দফতরে
জমায়েত এড়াতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ‘ভার্চুয়াল সভা’ করেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বক্তব্য, ‘‘কর্মী-সমর্থকেরা এলে তাঁদের ফেরাব কী ভাবে?’’ বিজেপি নেতাদের দাবি, তিনটি জায়গাতেই বৈঠকে আসা লোকজনের মুখে ‘মাস্ক’ ছিল।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে
তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যালদের মন্তব্য, ‘‘নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে ক্রমাগত আমাদের দিকে অভিযোগ করছেন দিলীপবাবু। অথচ, তাঁর কর্মসূচিতে যা হয়েছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন।’’ যদিও বাঁকুড়ায় দিলীপবাবু দাবি করেন, ‘‘কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। তাতে লোক আসছে দেখে ওঁদের কষ্ট হচ্ছে।’’