কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনল তৃণমূল।—ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তরজার মধ্যেই কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনল তৃণমূল। ভার্চুয়াল সভায় এ দিন শাহ বলেন, ‘‘এক সময় বাংলা শিক্ষা, ধর্ম, স্বাধীনতা সংগ্রাম, আইনশৃঙ্খলা—সব ক্ষেত্রেই দেশকে পথ দেখাত। যে ভূমিতে বন্দে মাতরম, জনগণমন রচিত হয়েছে, সেই বাংলার এখন কী অবস্থা!’’ তার জবাবেই তৃণমূলের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘‘শাহের কি মনে আছে যে তাঁর চোখের সামনে তাঁর লোকেরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যেখানে শান্তিনিকেতন আছে, শিক্ষাদানের ভিন্ন পদ্ধতি আছে, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দের ভক্তি আন্দোলন যেখানে শুরু হয়েছিল, যেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর শোনা যেত, সেখানে এখন বোমা-গুলির আওয়াজ শোনা যায়। যে বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত ছিল, সেখানে এখন তোষণের রাজনীতি হয়।’’ রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সূর্য সেন প্রমুখের ভূমি বলে বাংলার মাটির উদ্দেশে প্রণাম জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন শাহ। এর পাল্টা তৃণমূল বলেছে, ‘‘অমিত শাহ সেই ব্যক্তি যাঁর জন্য দেশের সংহতি ও একাত্মতাবোধ বিপন্ন। আর তিনিই বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার কথা বলছেন!’’