মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানি। ছবি: টুইটার
শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার হাওড়া ময়দানে মেট্রো রেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হাজির থাকলেও তাঁর দু’পাশের চেয়ারগুলি ছিল ফাঁকা। অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নের মুখেও পড়েন তিনি। কেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদেরাঅনুপস্থিত ছিলেন? স্মৃতির জবাব, ‘‘আমি জানি না, কেন ওঁরা আসেননি। আমাকেও তো মেট্রোরেলের জেনারেল ম্যানেজার একেবারে শেষ সময়ে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই আমি এসেছি।’’
মেট্রোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায়, চৌরঙ্গীর তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে। সোমবার মেট্রোর অনুষ্ঠানে এঁদের কাউকেই দেখা যায়নি।
ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল সোমবার। তিনি উত্তরবঙ্গে পৌঁছেও গিয়েছেন। মেট্রোর অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি নিয়ে নয়না বলেন, ‘‘যিনি এই মেট্রো প্রকল্পের রূপকার, তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে আমন্ত্রণের ক্ষেত্রে। বাংলার মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলের দায়িত্বে ছিলেন তখন তিনি এই প্রকল্পের কাজ করিয়েছিলেন। আর বিজেপি সরকার তাঁর কৃতিত্বকে মুছে দিতে চাইছে। এমন ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যাতে তাঁর অসম্মান হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা যাইনি, কারণ, আমাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অত্যন্ত অসম্মানজনক ভাবে। বাড়ির লেটার বক্সে কোনওরকমে সুদীপবাবু ও আমার কার্ড লেটার বক্সে রেখে যাওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রকেও একই কায়দায় আমন্ত্রণ করেছিল মেট্রো রেল। এ ভাবে আমন্ত্রণ করলে আত্মসম্মান থাকা কোনও ব্যক্তি যান কি?’’