নির্বাচনী ধাক্কার পরে ‘জনস্বার্থ রক্ষা’য় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামল তৃণমূল। রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় দুটি মিছিলে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও কাউন্সিলরেরা। এই কর্মসূচিতে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্রামের সময় শেষ। রাজ্যে ২০২১ সালে বিজেপিকে গণতান্ত্রিকভাবে শেষ করে জবাব দিতে হবে।’’
লোকসভা ভোটের ফল দলের কাছে অপ্রত্যাশিত হলেও বিজেপিকে সময় দিতে রাজি নয় তৃণমূল। সেই বার্তা দিতেই এ দিন কলকাতায় জোড়া মিছিলে নেমে পড়লেন দলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও নেতারা। দলের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দক্ষিণ কলকাতায় একটি মিছিলে অভিষেক ছাড়াও ছিলেন সাংসদ মালা রায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সহ বিধায়ক ও কাউন্সিলরেরা। সেখানেই ঘুরে দাঁড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করে অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপি কয়েকটা আসন পেয়ে গুন্ডা দিয়ে আমাদের পার্টি অফিস দখল করতে চাইছেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব।’’ বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যা করছেন, তা বরদাস্ত করব না। পুনর্দখলের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘১৮-য় বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত হয়নি। ১৯-এ ৪২ হয়নি। ২১-এ নতুন গল্প করছেন। কিন্তু তখন পিসি-ভাইপো ছাড়া তৃণমূলে থাকবে না।’’
বিজেপির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ বিরোধী কাজের অভিযোগ করে অভিযোগ করে যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিবাদ করব। তোমরা ইডি, সিবিআই, আয়কর দিয়ে কী করবে? প্রতি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।’’ দলের মনোভাব স্পষ্ট করে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘আমার জন্ম কালীঘাটে, থাকছি কালীঘাটে। পারলে আমাকে জেলে ঢোকাও। দেখি কত দম তোমাদের।’’ ভোটের ধাক্কার পরে দলের মনোবল যাতে না ভাঙে, তা মাথায় রেখে তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশ দেখেছে, লড়াই করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আমাদের লড়াই চলবে।’’
এ দিন উত্তর কলকাতার মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল। মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এই মিছিলেও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে স্লোগান উঠেছে।
৬ জুন কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই মিছিল করবে তৃণমূল।