দিল্লির ভোরের দৃশ্য। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হল দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে। বৃহস্পতির ভোরেও কমল না ধোঁয়াশার দাপট। ব্যাহত হল রেল ও বিমান পরিষেবা।
বুধের পর বৃহস্পতির সকালেও ধোঁয়াশার কারণে একাধিক বিমানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চল ঢেকেছে ধোঁয়াশার পুরু আস্তরণে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে ১০ মিটারে। একাধিক দিল্লিগামী ট্রেনের সময়সূচি বদলানো হয়েছে। বেশির ভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়সূচি থেকে পাঁচ থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। এর মধ্যে অমৃতসর-সতখন্দ এক্সপ্রেস চলছে ২৩ ঘণ্টা দেরিতে! আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কুয়াশার দাপট চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
বৃহস্পতির ভোরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বুধবারের তুলনায় এক ধাক্কায় ২ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে পারদ। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস বলছে, আপাতত কয়েক দিন দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমবে। সঙ্গে থাকবে ঘন কুয়াশা। সপ্তাহান্তে উত্তরের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
তবে গত কয়েক দিনে রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই-এর কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বাতাসের গুণমান। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাতাসের গড় গুণমান সূচক ছিল ২৯৯, যা ‘খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাতাসের গড় গুণমান রেকর্ড হয়েছিল ২৯৭।