TMC

‘গড়’ রক্ষায় প্রত্যয়ী তৃণমূল

ভেন্দুর ভিত্তিভূমি মেদিনীপুরের তিন জেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙন ধরাতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর ‘খাসতালুক’ কাঁথিতে সমাবেশের ঘোষণা করে দিল তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দু দল ছেড়ে গেলেও তার প্রভাব পড়েনি।

Advertisement

বস্তুত, অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর যোগদানের মতো বড় মাপের কর্মসূচিও কিন্তু শুভেন্দুর ভিত্তিভূমি মেদিনীপুরের তিন জেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙন ধরাতে পারেনি। সাংসদ-বিধায়ক মিলে যে দশ জন শুভেন্দুর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে গিয়েছেন, সেই তালিকায় তাঁর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূলের আছেন একজন মাত্র বিধায়ক— উত্তর কাঁথির বনশ্রী মাইতি। এমনকি ‘অধিকারী বাড়ি’তেও এখনও ভাঙন ধরাতে পারেননি শুভেন্দু। তাঁর সেজ ভাই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী রবিবার স্পষ্টই বলেন, ‘‘আমি শুভেন্দুবাবুর পরিবারের একজন সদস্য এ কথা ঠিক। তবে উনি একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি তৃণমূলের একজন সৈনিক। সর্বদা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’’
এ সবকে ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছে তৃণমূল। পাশাপাশি বড় কর্মসূচি করে দল বার্তা দিতে চাইছে, শুভেন্দুর ‘গড়ে’ও তাঁর দলত্যাগের প্রভাব তৃণমূলে পড়েনি। সেই মতো পরশু, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় থাকার কথা সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

অধিকারী-বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’- এর সামনে থেকে এক মিছিলও হওয়ার কথা ওই দিন। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বাঁধা হচ্ছে মঞ্চ, শুরু হয়েছে মাইকে প্রচার। তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি বলেন, ‘‘১৩ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গধ্বনিতে সকলে ব্যস্ত থাকায় ওই দিন আর কাঁথিতে কর্মসূচি করা যায়নি। ২৩ ডিসেম্বর তা হবে।’’ সব ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারির গোড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান মানছেন, ‘‘জানুয়ারিতে নেত্রী জেলায় এসে জনসভা করবেন। তবে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি।’’
মেদিনীপুরে শাহের সভায় বিভিন্ন জেলার ৮০ জনেরও বেশি নেতা-নেত্রীকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। মনে করা হয়েছিল, এই তালিকার বেশিরভাগটাই ভরবে মেদিনীপুর। তা অবশ্য হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের কয়েকজন জেলা পরিষদ সদস্য বিজেপিতে গেলেও এই জেলা ও পাশের জেলা ঝাড়গ্রামের কোনও বিধায়ক পদ্ম-পতাকাতলে যাননি। এতে স্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘আমাদের জেলার বিধায়কেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, আমরা ক্ষুদিরামের জেলার ছেলে। আমরা বেইমানের খাতায় নাম লেখাইনি, লেখাবও না।’’

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের অবশ্য ধারণা, আগামী দিনে শুভেন্দু তাঁর পুরনো দল আরও ভাঙাতে পারবেন কিনা, সে জবাব সময়ই দেবে। তবে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘তৃণমূল ভাঙছে, আরও ভাঙবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement