দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাও শুক্রবারের বৈঠকে এ বিষয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এ বিষয়গুলি আমাদের তোলা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দলের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ভার যশবন্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে দিয়েছেন মমতা।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফাইল চিত্র।
সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তৃতার পরেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখেছিলেন, ‘এটি পেগাসাস স্পিন বাজেট’। শুক্রবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মমতার নির্দেশে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বাজেটের বিরোধিতার রণকৌশল বেঁধে দিলেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের এই বাজেট, ‘ভারতকে বিক্রি করার’ (সেল ইন্ডিয়া) বাজেট’। সুদীপের অভিযোগ, বিমা, বিমান, রেলের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত নানা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেশকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে মোদী সরকার।
আগামী ১৪ মার্চ- ৮ এপ্রিল সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তৃণমূলের একটি সূত্র, জানাচ্ছে ওই অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় বাজেটের ‘জনবিরোধী প্রস্তাবগুলির’ বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পারেন দলের সাংসদরা। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাও শুক্রবারের বৈঠকে এ বিষয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এ বিষয়গুলি আমাদের তোলা উচিত।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই দলের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ভার যশবন্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে দিয়েছেন মমতা।
বাজেট বিরোধিতার পাশাপাশি সংসদে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কার্যকলাপের বিরোধিতাতেও সরব হবেন তৃণমূল সাংসদের। শুক্রবারের বৈঠকে দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালকে ‘সেন্সর’ করার প্রস্তাব জমা দিয়েছি। বিভিন্ন বিরোধী দল তা সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।’’