Prasun Banerjee

ভয়ঙ্কর ধনখড়, তাই রাজ্যপাল পদই তুলে দেওয়ার সওয়াল তৃণমূল সাংসদ প্রসূনের

প্রসূনর দাবি, ২০১৭ সালে লোকসভায় রাজ্যপাল পদ তুলে দেবার জন্য আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বেশিরভাগ দলই এই পদ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ২১:১৭
Share:

জৈন হাসপাতালে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ‘ডেঞ্জারাস ম্যান’ বললেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসূন মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল বিজেপি নেতাদের মতো কথা বলেন। তাই তিনি রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়ার জন্য লোকসভায় সরব হবেন।

Advertisement

মঙ্গলবার শিবপুরের জৈন হাসপাতালে প্রসূন তাঁর প্রয়াত দাদা পি কে বন্দোপাধ্যায় ব্যবহৃত একটি শয্যা দান করেন। প্রসূন জানান, ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জন্যই শয্যাটি সংরক্ষিত থাকবে।

প্রসূন তিনি বলেন, ‘‘সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছে। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনা না করে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন বিষয় টুইট করে চলেছেন। ওঁর উচিত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা। কিন্তু যে ভাবে তিনি কাজ করছেন সেটা বাংলার মানুষকে অপমান করার শামিল। এটা তিনি করতে পারেন না।’’

Advertisement

প্রসূনর দাবি, ২০১৭ সালে লোকসভায় রাজ্যপাল পদ তুলে দেবার জন্য আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বেশিরভাগ দলই এই পদ তুলে দেওয়ার জন্য সরব হয়েছিল। কারণ মোটা টাকা খরচ করে রাজ্যপাল পদ রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দিনের পর দিন যে ভাবে বিজেপি নেতার মত আচরণ করছেন, সে জন্য ফের এই পদের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’

সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে ‘উত্তরবঙ্গ’ এবং ‘জঙ্গলমহল’ রাজ্য গঠনের সওয়াল করেছেন, তারও কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রসূন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই বাংলাকে ভাগ করতে দেব না। এর জন্য যতদূর যাওয়া যায়, ততদূর যাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement