সংসদের অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন মমতাবালা ঠাকুর। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে শপথ গ্রহণের সময়ে থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মমতাবালা শপথ গ্রহণের সময়ে রাজ্যসভায় হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নেন। তার পরেই তাঁকে থামিয়ে দেন ধনখড়। একে মতুয়াদের অপমান বলে দাবি করছে তৃণমূল। দিনটিকে তারা মতুয়াদের জন্য ‘কালো দিন’ বলে আক্রমণ শানিয়েছে।
বুধবার মমতাবালা নিজে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সংসদে শপথ গ্রহণের সময়ে আমাকে হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিতে দেওয়া হল না, এটা দুর্ভাগ্যজনক। বাকি সকলেই নিজেদের ঈশ্বরের নাম নিতে পেরেছেন। আমাকে সেটা করতে বাধা দেওয়া হল। এটা মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য একটা কালো দিন।’’
ধনখড়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে তিনি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘মমতাবালা তাঁর নিজের ঠাকুরের নাম নিয়েছেন বলে মাঝপথে তাঁর শপথ বন্ধ করে দিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়। তিনি রাজ্যপাল থাকাকালীন ধারাবাহিক ভাবে বাংলার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই এখন তাঁকে বড় পদ দেওয়া হয়েছে।’’
মমতাবালার ‘অপমানের’ প্রসঙ্গে বুধবার রাতে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনিও। তাঁর কথায়, ‘‘মমতাবালা হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম করে শপথবাক্য পাঠ করা শুরু করেছিলেন সংসদে। কিন্তু দেশের উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় তাঁর সেই শপথ বাতিল করে পুনরায় তাঁকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করান। আসলে তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছেন। কারণ বিজেপি ২০২১ সালে বাংলায় জিততে পারেনি। শান্তনু ঠাকুরকে ব্যবহার করে মতুয়া সমাজকে শেষ করতে চাইছে বিজেপি। এই অপমানের জবাব আগামী দিনে মানুষই দেবে। বিজেপি আবার প্রমাণ করল, তারা মতুয়াদের অচ্ছুৎ মনে করে। এটা মতুয়াদের জন্য একটা কালো দিন।’’