মোদী, অভিষেক, আলাপন। ফাইল ছবি।
আলাপন-বিতর্কে এ বার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরদর্শনে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত।
ইয়াস-বিধ্বস্ত নদীবাঁধ ও দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি দেখতে বুধবার দুপুরে পাথরপ্রতিমায় এসেছিলেন অভিষেক। সেখানে তিনি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘উনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন। যিনি কাজ করছিলেন তাঁকে কেন শো-কজ! প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। কমিশনের ব্যর্থতা। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ওই আইন প্রয়োগ হোক। দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, প্রতি দিন লাখ চারেক বলে মারা যাচ্ছেন, সকলকে বাড়িতে থাকার কথা বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী তখন এ রাজ্যে এসে সভা করছেন। আর বলছেন, এত বড় সভা কখনও দেখিনি। ওর বিরুদ্ধে আগে ওই আইন প্রয়োগ হওয়া উচিত।’’
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ তিনি স্থানীয় দক্ষিণ মহেন্দ্রপুর শিবপ্রসাদ ভগবৎচন্দ্র হাইস্কুল মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নামেন। সেখান থেকে যান দুর্গাচকে৷ সেখানকার ‘ফ্লাড সেন্টার’-এ শ’পাঁচেক দুর্গত মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আপনাদের বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা অর্থসাহায্য পাবেন। গবাদি পশু, পানের বরোজের ক্ষতি হলেও অর্থ সাহায্য মিলবে। মৎস্যজীবীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি অনুরোধ করব, সকলে এখানেই থাকুন। কেউ সাহায্য করুক বা না করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দিন রয়েছেন তত দিন কোনও চিন্তা করবেন না।”
পাথরপ্রতিমায় অভিষেক। নিজস্ব চিত্র।
সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি যান রামগঙ্গা ঘাটে। সেখানে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, সেচ দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে লঞ্চে চাপেন। ওয়াল ক্রিক নদী পেরিয়ে বিধ্বস্ত গোপালনগর এলাকাও পরিদর্শন করেন অভিষেক। লঞ্চে বসেই দুর্গত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর নেন তিনি৷ পরে ফের রামগঙ্গা ফিরে আসেন। সেখানেই একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি ‘ফ্লাড সেন্টার’ যান।